একচ্যুয়ারি সৃষ্টিতে তহবিল: বছরে কোটি টাকার অনুদান দিতে বিআইএ’কে চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বীমা খাতে একচ্যুয়ারির অভাব দূর করতে স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে একচ্যুয়ারি সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে ‘একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স স্কলারশিপ তহবিল’ গঠন করা হয়েছে।

এই তহবিলের অর্থ যোগাতে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনকে প্রতি অর্থবছরে অনুদান দিতে হবে এক কোটি টাকা। এরইমধ্যে দু’বছরের অনুদান হিসেবে ২ কোটি টাকা পাঠাতে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সংগঠনটিকে চিঠি দিয়েছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, এই স্কলারশিপ পরিচালনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে প্রাথমিকভাবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ বীমা করপোরেশন, জীবন বীমা করপোরেশন ও বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন থেকে প্রতি অর্থবছরে ৫ কোটি টাকার তহবিল যোগানের সিদ্ধান্ত হয়।

এক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ থেকে প্রতি অর্থবছরে যোগান দিতে হবে ২ কোটি টাকা। আর সাধারণ বীমা করপোরেশন, জীবন বীমা করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন থেকে ১ কোটি টাকা করে মোট ৩ কোটি টাকা তহবিলে অনুদান দিতে হবে প্রতি অর্থবছরে।

এরইমধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দু’জন শিক্ষার্থীকে একচ্যুয়ারি পড়তে যুক্তরাজ্যে পাঠিয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে মাস্টার ইন একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স সম্পন্ন করতেই তাদের টিউশন ফি, জীবন-যাপন ব্যয়, এস্টাবলিশমেন্ট ও সংস্থাপন ভাতা, শিক্ষা উপকরণ সংক্রান্ত এক বছরে ব্যয় হবে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

মাস্টার্স ইন একচ্যুয়ারিয়াল ম্যানেজমেন্ট সম্পন্ন করতে খরচ হবে আরো ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। অর্থাৎ দু’বছরে দু’জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যয় হবে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। এভাবে প্রতি বছর ৫ জন শিক্ষার্থীকে একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স স্কলারশিপ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।