আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ে আইডিআরএ’র তদন্ত

সন্তোষজনক নয় মার্কেন্টাইল লাইফের আর্থিক অবস্থা, ১০ শতাংশ কমিশন স্থগিত রাখার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্থিক ভিত সন্তোষজনক নয় মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। এ কারণে ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের উপর প্রদেয় কমিশন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে আইডিআরএ। তবে এই ১০ শতাংশ কমিশন নবায়ন প্রিমিয়াম আয় হলে তার সাথে সমন্বয় করতে পারবে কোম্পানিটি।

আর্থিক সক্ষমতা যাচাইয়ে তদন্ত শেষে এসব নির্দেশনা দিয়েছে বীমা খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

আইডিআরএ’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোম্পানির গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে। নবায়ন প্রিমিাম সংগ্রহ ৬০ শতাংশ করতে হবে। এছাড়াও বাড়াতে হবে লাইফ ফান্ড ও বিনিয়োগ। পলিসি তামাদির হার কমাতে প্রণয়ন করতে হবে কর্মকৌশল।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে গেলো বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের প্রধান কার্যলয় পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেয় কর্তৃপক্ষের তদন্ত দল। চলতি বছরের ২২ মে ওই তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানিতে বীমা কোম্পানিটিকে এসব নির্দেশনা দেয় আইডিআরএ। 

সূত্র মতে, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ বীমা ব্যবসার লাইসেন্স পায় ২০১৩ সালে। বিগত ২০১৭ থেকে ২০২১ সালে কোম্পানিটি সর্বমোট প্রিমিয়াম আয় করে ১১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এই সময়ে ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করে ৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

অথচ কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৭৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই ৫ বছরে কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছে।

২০২১ সাল শেষে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। একই সময়ে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা। বিনিয়োগ রয়েছে সর্বমোট ৪৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।

সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২২ সালে কোম্পানিটি ৫২ কোটি ২ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহে ব্যয় করেছে ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অথচ কোম্পানিটির ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২২ সালেও কোম্পানিটি ৪৪ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছে।

২০২২ সাল শেষে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। একই সময়ে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৫৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র পক্ষ থেকে বীমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় এবং বেশ কিছু দিন ধরে অফিস করতে না পারায় এ বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।