সোনালী লাইফ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোনো রকমের বিনিয়োগ ছাড়াই সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান হওয়া, পরিবারের সদস্যদের পরিচালক বানানো এবং ফ্লোর ক্রয়ের অনুমোদনের আগেই কোম্পানির তহবিল থেকে ২১২ কোটি টাকা নেয়ার বিষয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বীমা কোম্পানিটির বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩) ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে পাঠানো এ সংক্রান্ত একটি স্বাক্ষরবিহীন ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তি’ এবং অনলাইন মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এই প্রতিবাদ জানান। তবে প্রকাশিত সংবাদের কোন বিষয়েই তিনি সুস্পষ্টভাবে জবাব দেননি, প্রায় সবগুলো বিষয় তিনি এড়িয়ে গেছেন। 

ভিডিও বার্তায় মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান এভাবে জাতীয় পতাকা পাশে রেখে বক্তব্য দেন। ঠিক সেই আদলে বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যানের ভিডিও বক্তব্য দেয়াকে শিষ্টাচারের লঙ্ঘন বলছেন তারা।  

গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ‘মূলধন পরিশোধ না করার অভিযোগ কুদ্দুস পরিবারের পরিচালকদের বিরুদ্ধে: ফ্লোর বিক্রি করে সোনালী লাইফ থেকে ২১২ কোটি টাকা নিয়েছেন চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস, অনুমোদন নেই আইডিআরএ’র’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি।

প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের বক্তব্য হুবহু এবং প্রতিবেদকের বক্তব্য উপস্থাপন করা হলো।

ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে পাঠানো মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

“সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে সোনালী লাইফের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা এমন একটি সময় ঘটেছে যখন আমি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক বা চেয়ারম্যান ছিলাম না।

উল্লেখযোগ্যভাবে গত ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে আমি কোম্পানীর চেয়ারম্যানের পদে নির্বাচিত হই। এর আগে আমি কোম্পানীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। শুধুমাত্র আমার ১৫ তলা ভবনের মালিক আমি; যা সোনালী লাইফের অফিস হিসাবে পরিচিত। আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শুধুমাত্র কোম্পানীর একজন পরিচালক হয়েছি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কয়েক দশক ধরে একটি সমৃদ্ধ উদ্যোক্তা ব্যাকগ্রাউন্ড এবং বিজিএমইএর প্রাক্তন সভাপতি হিসেবে জনাব কুদ্দুস তার অভিজ্ঞতা দিয়ে কোম্পানীকে সমৃদ্ধ করেছেন। ২০২৩ সালে কোম্পানীর  কার্যক্রমে অসঙ্গতি লক্ষ্য করার পরে তিনি স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য একটি অভন্ত্যরীণ তদন্ত শুরু করেছিলেন। এই তদন্তে কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ একটি গোষ্ঠীর স্বার্থের কথা উন্মোচিত হয়; যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জালিয়াতি এবং জালিয়াতিপূর্ণ ডকুমেন্ট তৈরিতে জড়িতদের পদত্যাগ করতে হয়।

প্রচারিত সংবাদে ভবন মালিক এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর একটি সমঝোতা স্মারক উপস্থাপন করা  হয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গোলাম কুদ্দুস বলেন, সংবাদে উপস্থাপিত সমঝোতা স্মারকটি জাল এবং ও নথিতে আমার স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে। স্বাক্ষরিত সমঝোতা বানোয়াট। যাতে ৫ অক্টোবর, ২০২১ এর একটি মিথ্যা তারিখ দেওয়া। যা একটি অবৈধ দলিল। তাছাড়া  ভুলভাবে উপস্থাপন করা নথিটি ৫৮ হাজার ৮০০ বর্গফুট পরিমাপের সম্পত্তি ক্রয়/বিক্রয়ের জন্য একটি স্থানকে মিথ্যাভাবে নির্দেশ করে।

উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ৩৫০.০০ কোটি টাকায় অফিস ভবন স্থানের মূল্য স্বারকে এবং আইডিআরএ আবেদনের সাথে উল্লিখিত ১১০.০৫ কোটি টাকার স্থলে প্রতারণামূলক ভাবে ৩৫০ কোটি টাকার উল্লেখ করা হয়। প্রকৃত বিবেচ্য পরিমাণ থেকে জালিয়াতিপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি তৈরি করে।

জনাব কুদ্দুস জোর দিয়ে বলেন, এই নথিগুলো হেরফের করার পিছনে উদ্দেশ্য হল মূল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করা। সম্ভাব্যভাবে কোম্পানীর বৃদ্ধির গতিপথকে হ্রাস করা। এই ধরনের কার্যকলাপ যদি  রোধ করা না হয়, তাহলে কোম্পানীর সুনামকে ক্ষতিগ্রস্থ করার এবং এর অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্টেকহোল্ডারদের বিভ্রান্ত করতে এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর প্রবৃদ্ধি আটকানোর জন্য জাল স্বারকটি  তৈরি করা হয়েছে। কোম্পানীর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি আমার অঙ্গীকার অটল রয়েছে।

কোম্পানির অভ্যন্তরীণ তদন্ত বন্ধ করার জন্য চাপের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও জনাব কুদ্দুস স্থিতিশীল ছিলেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। জনাব কুদ্দুস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর চলমান তদন্তকাজ আরও গতি পায়। এতে একটি মহল ক্ষিপ্ত হয়। তারা কোম্পানী এবং জনাব কুদ্দুসকে দুর্বল করার জন্য জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে  বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষক পরিচালক মিসেস শাফিয়া সোবহান  চৌধুরী, মিসেস ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া এবং জনাব শেখ এম ড্যানিয়েল তাদের কাছে বরাদ্দকৃত শেয়ারের বিপরীতে নিজ নিজ উৎস থেকে অর্থ পরিশোধ করেন। শুধু তাই নয়, তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং সিইও’র অধীনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যলোচনা করে রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (RJSC) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইনের মাধ্যমে নিয়ম ও প্রবিধান অনুসারে অর্থ পরিশোধ করা হয়।

একটি পরিবার হিসাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে জনাব কুদ্দুস কোম্পানীকে বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ হুমকি থেকে রক্ষা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি কোম্পানীর সদিচ্ছা ও সুনামকে কলঙ্কিত না করে মিথ্যা তথ্য প্রচার ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদ প্রকাশের পর যে উদ্বেগগুলো তৈরি হয়েছে তা দূর করার জন্য জনাব কুদ্দুস প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র উপস্থাপন করবেন। তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও আইন আদালতের প্রতি আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং কোম্পানীর সততা ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য প্রচলিত আইনের আশ্রয় গ্রহণের পরিকল্পনা  করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনাব কুদ্দুস এসব অভিযোগ সংগঠিত হওয়ার সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিষয়গুলো যদি সত্যি হতো, তাহলে সেগুলো আগে সামনে আনা হয়নি কেন? চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তনের পরে এবং তদন্ত চলাকালে কর্মীদের পদত্যাগের পরে অভিযোগগুলো প্রকাশিত হওয়া নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন।

সবশেষে জনাব কুদ্দুস জনসাধারণ, স্টেকহোল্ডার এবং মিডিয়াকে সতর্কতা অবলম্বন করার এবং সম্ভাব্য বানোয়াট নথি এবং মিথ্যা ডকুমেন্ট ও তথ্যের উপর ভিত্তি করে সংবাদ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে প্রাপ্ত তথ্য সম্পূর্ণভাবে যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের চতুর্থ প্রজন্মের বীমা প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড নিয়ে বিভ্রান্তিকর  যেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

এসব তথ্য প্রচার করে সোনালী লাইফের সুনামক্ষুণ্নের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। সোনালী লাইফ কর্তৃপক্ষ মনে করে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে কোম্পানীর অগ্রগতি থামানো যাবে না।

প্রতিষ্ঠার ১০ বছরে সোনালী লাইফ গ্রাহকের আমানত রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে।

সোনালী লাইফ বর্তমানে যেভাবে যথাসময়ে বীমা দাবি পরিশোধ করছে, আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। তাছাড়া কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ গ্রাহকের আস্থার সর্বোচ্চ মর্যাদা দিতে বদ্ধ পরিকর। যেকোনো মূল্যে কোম্পানীতে  গচ্ছিত আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিতেও দৃঢ় প্রতীজ্ঞ সোনালী লাইফ। ফলে গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন বা চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

তাই সোনালী লাইফের সঙ্গে সম্পৃক্ত গ্রাহকসহ সবাইকে সোনালী লাইফের প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ করা হয়।”

প্রতিবেদকের বক্তব্য:

সোনালী লাইফ থেকে ২১২ কোটি টাকা নেয়ার বিষয়ে কোন বক্তব্য দেননি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস

ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, আইডিআরএ’র অনুমোদনের আগেই ফ্লোর বিক্রির মূল্য বাবদ সোনালী লাইফ থেকে ২১২ কোটি টাকা নিয়েছেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বরের মধ্যে নিজের এবং মালিকানাধীন ৪টি প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি এসব টাকা নিয়েছেন।

এসব টাকা তিনি কেন নিয়েছেন এবং কোন উদ্দেশ্যে নিয়েছেন তার কোন উত্তর দেননি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। এ ছাড়াও সংবাদে প্রকাশিত এই তথ্য তিনি অস্বীকার বা মিথ্যা প্রতিপাদন করেননি। এমনকি এই বিষয়ে কোন বক্তব্যও উত্থাপন করেননি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস।

ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র কোন তথ্যটি ভুল তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি

সংবাদে উপস্থাপিত সমঝোতা স্মারকটি জাল এবং নথিতে তার স্বাক্ষর জাল দাবি করেই সকল দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। একইসঙ্গে তিনি তার বক্তব্যে ভবনের মূল্য ১১০.০৫ কোটি টাকা দাবি করে ৩৫০ কোটি টাকা মূল্যের বিষয়টিকে অস্বীকার করার চেষ্টা করেছেন। তবে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র কোন তথ্যটি ভুল তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি।

আইডিআরএ’র কাছে সোনালী লাইফের ভবন ক্রয়ের দু’টি আবেদন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র হাতে এসেছে। দু'টি আবেদনই করা হয়েছে ২০২৩ সালে। এর মধ্যে গত ১৩ জুলাইয়ের আবেদনে ৭৪ হাজার ৭শ’ বর্গফুট ফ্লোরের মূল্য দেখানো হয়েছে ১৩২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অপরদিকে ১৯ সেপ্টেম্বরের আবেদনে ৫৮ হাজার ৮শ’ বর্গফুট ফ্লোরের মূল্য দেখানো হয়েছে ১১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

ফ্লোর ভাড়ার বিষয়ে সুস্পষ্ট কোন তথ্য উপস্থাপন করেননি

ভিডিও বার্তায় মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস দাবি করেছেন, সোনালী লাইফের অফিস হিসেবে তার মালিকানাধীন ১৫ তলা ভবনটি দিয়ে সহায়তা করেছেন। তবে সোনালী লাইফ তাকে ৪ বছর কোন ভাড়া পরিশোধ করতে পারেনি।

তবে সোনালী লাইফকে কত বর্গফুট ফ্লোর ভাড়া দিয়েছেন, প্রতি বর্গফুট ফ্লোরের ভাড়া কত এবং মোট কত টাকার ভাড়া বকেয়া আছে- সে বিষয়ে কোন তথ্য উপস্থাপন করেননি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস।

অথচ ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এই ২৬ মাসে তিনি সোনালী লাইফ থেকে যে ২১২ কোটি টাকা নিয়েছেন সেটাকে ভাড়া হিসেবে গণ্য করলে তিনি প্রতি মাসে কোম্পানিটি থেকে নিয়েছেন প্রায় ৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

এক্ষেত্রে আইডিআরএ’র কাছে পাঠানো ১৩ সেপ্টেম্বরের চিঠি অনুসারে মোট ফ্লোরের আয়তন ৭৪ হাজার ৭শ’ বর্গফুট ধরলে সোনালী লাইফ গোলাম মোস্তফা কুদ্দুসকে প্রতি বর্গফুট ফ্লোরের বিপরীতে মাসে ১০৯২ টাকা ভাড়া পরিশোধ করেছে।

বিনা পয়সায় শেয়ারের মালিক হওয়ার বিষয়ে কোন বক্তব্য নেই

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৩ সালে পরিচালক হওয়া পরিবারের ৩ সদস্যের বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করলেও নিজের এবং পরিবারে অপর ৩ সদস্যের শেয়ারের মূল্য পরিশোধের বিষয়ে কোন বক্তব্য উপস্থাপন করেননি মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস। ২০২১ সালে কোনো রকম বিনিয়োগ ছাড়াই তিনিসহ পরিবারের অপর ৩ সদস্য সোনালী লাইফের পরিচালক হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গেছেন।

শেয়ারের মূল্য পরিশোধে কাল্পনিক লেনদেনের বিষয়েও কোন বক্তব্য নেই

এ ছাড়াও ২০১৮ সালে যেদিন ১০ পরিচালক পে-অর্ডার করে শেয়ারের মূল্য বাবদ ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করেন, সেদিনই সোনালী লাইফের একাউন্ট থেকে নগদ যে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয় সে বিষয়েও কোন ব্যাখ্যা দেননি কোম্পানিটির বর্তমান পরিচালক মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস।