স্টেকহোল্ডারদের মতামত আহবান

বীমাকারী রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালা করছে আইডিআরএ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমাকারী রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালা করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশের বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। এরইমধ্যে প্রবিধানমালাটির একটি খসড়াও প্রস্তুত করেছে সংস্থাটি। খসড়া প্রবিধানমালাটি চূড়ান্ত করতে স্টেকহোল্ডারদের মতামতও আহবান করা হয়েছে।

সোমবার (১১ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইন্স্যুরেন্স একাডেমি, ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স ফোরামসহ সকল লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৮ মার্চের মধ্যে নির্ধারিত দু’টি ই-মেইলে খসড়া বিধিমালার বিষয়ে মতামত পাঠাতে বলা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের পরিচালক (আইন) মোহা. আবদুল মজিদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বীমাকারী রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালার বিষয়ে কোন মতামত না পাওয়া গেলে এ বিষয়ে কারো আপত্তি বা মতামত নেই মর্মে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

আইডিআরএ বলছে, বীমা খাতের সার্বিক উন্নয়নে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইনের ধারায় বিধৃত বিধি/প্রবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি। তারই ধারাবাহিকতায় ‘বীমাকারী রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রবিধানমালা, ২০২৪’ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

নতুন এই প্রবিধানমালায়- ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড পরিপালন; রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রস্তুতকরণ; ইসলামী বীমা ব্যবসার হিসাব; শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি গ্রাহকদের তহবিল সংরক্ষণের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড পরিপালনের ক্ষেত্রে-

আইনের ধারা ৩২(৪) এর বিধান পরিপালনার্থে সকল বীমাকারী ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৪০ এর আওতায় ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত ও বীমাকারীর জন্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডসমূহ অনুসরণপূর্বক সকল হিসাবাদি প্রস্তুত ও সংরক্ষণ করতে হবে।

রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্র প্রস্তুতকরণের বিষয়ে বলা হয়েছে-

(ক) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৪০ এর আওতায় ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত ও বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডসমূহ অনুসরণপূর্বক লাভ-ক্ষতির হিসাব ও রাজস্ব হিসাব প্রস্তুত করবে। রাজস্ব হিসাব প্রস্তুত করার জন্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডস সংশ্লিষ্ট ছক ব্যবহার করতে হবে।

(খ) ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৪০ এর আওতায় ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত ও বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডসমূহ অনুসরণপূর্বক এবং এর সংশ্লিষ্ট ছক অনুযায়ী স্থিতিপত্র প্রস্তুত করতে হবে।

ইসলামী বীমা ব্যবসার হিসাবের বিষয়ে নতুন প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে-

বীমাকারী বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ৭ এর আওতাধীন একইসাথে প্রচলিত বীমা ব্যবসা ও ইসলামী বীমা ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতি প্রাপ্ত হলে প্রবিধি ৩ ও ৪ পরিপালনপূর্বক ইসলামী বীমা ব্যবসার হিসাব এবং প্রচলিত বীমা ব্যবসার হিসাব রাজস্ব, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্রে পৃথকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি গ্রাহকদের তহবিল সংরক্ষণের বিষয়ে বলা হয়েছে-

ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ৪০ এর আওতায় ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল কর্তৃক সর্বশেষ গৃহীত ও বীমাকারীর জন্য প্রযোজ্য ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ডসমূহ অনুসরণপূর্বক বীমাকারী কর্তৃক শেয়ার গ্রহীতা ও পলিসি হোল্ডারদের তহবিল পৃথকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।