হিসাব সমাপনী ২০২৩

৩৩% প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে বেঙ্গল ইসলামী লাইফের


নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বশেষ হিসাব সমাপনী বছর ২০২৩ সালে বেঙ্গল ইসলামী লাইফ মোট প্রিমিয়াম আয় করেছে ৬০ কোটি ৬ লাখ টাকা। যা আগের বছর ২০২২ সালে ছিল ৪৫ কোটি ৫ লাখ টাকা। এই হিসাবে কোম্পানিটির মোট প্রিমিয়াম আয় বেড়েছে ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা বা ৩৩.৩২ শতাংশ।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে দাখিল করা বেঙ্গল ইসলামী লাইফের ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সালের ব্যবসা সমাপনীর হিসাব পর্যালোচনা করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে বেঙ্গল ইসলামী লাইফের ৬০ কোটি ৬ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহে খরচ হয়েছে ৪৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা ২৩.৫৯ শতাংশ। এর আগে ২০২২ সালে কোম্পানিটির উদ্বৃত্ত ছিল ৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বা ১৮.৫৮ শতাংশ। 

এই হিসাবে ২০২৩ সালে বেঙ্গল ইসলামী লাইফের উদ্বৃত্তের হার ও টাকার পরিমাণ দু’টোই বেড়েছে।

২০২৩ সালে কোম্পানিটির সংগৃহীত মোট প্রিমিয়ামের মধ্যে ১ম বর্ষ প্রিমিয়াম ৪২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং নবায়ন প্রিমিয়াম ১৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২য় বর্ষ নবায়ন ১০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। 

বেঙ্গল ইসলামী লাইফের সাময়িক হিসাবের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড বেড়েছে ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বা ১৩৯ শতাংশ। বছর শেষে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এর আগে ২০২২ সাল শেষে কোম্পানিটির মোট লাইফ ফান্ড ছিল ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

২০২৩ সালে বেঙ্গল ইসলামী লাইফের বিনিয়োগ বেড়েছে ১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট বিনিয়োগ রয়েছে ৩০ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতে বিনিয়োগ রয়েছে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বর্তমানে বেঙ্গল ইসলামী লাইফের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

বেঙ্গল ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মনিরুল আলম বলেন, আইডিআরএ'র নির্দেশনা কঠোরভাবে পরিপালন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কোম্পানির পরিচালনা ব্যয় কমিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালে বীমা বাজারে কোম্পানির অবস্থান অনেক শক্তিশালী হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য বীমাকে আমরা অগ্রাধিকারভাবে জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি এবং গ্রাহক এবং কোম্পানি উভয়েই এর সুফল পাচ্ছে। স্বাস্থ্য বীমার কারণে পলিসি তামাদির হারও হ্রাস পাচ্ছে। 

এছাড়া বিগত ৩ বছর যাবৎ ধারাহাহিকভাবে কোম্পানির নিয়ম-নীতি ও প্রতিশ্রুতি ব্যাস্তবায়নের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কর্মী ও গ্রাহকের মাঝে আস্থা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। যেকোন ধরনের বীমা দাবি আমরা আন্তরিকতার সাথে নিয়মিতভাবে পরিশোধ করে যাচ্ছি। আমাদের কোন দাবি অপরিশোধিত নেই।

ইনশাল্লাহ এখন আমাদের কোম্পানি দিন দিন আরো সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে, বলেন  এম এম মনিরুল আলম।