যমুনা লাইফে মুখ্য নির্বাহী নিয়োগ

কামরুল হাসানের রিভিউ আবেদনও না-মঞ্জুর করেছে আইডিআরএ

নিজস্ব প্রতিবেদক: যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কামরুল হাসান খন্দকারের নিয়োগ নবায়নের জন্য করা রিভিউ আবেদনও না-মঞ্জুর করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। রোববার (২ জুন) শুনানি শেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সমতাকরণ ও বৈধতার প্রত্যয়নপত্র দাখিল না করায় গত ১৯ মার্চ কামরুল হাসানের নিয়োগ নবায়নের আবেদন না-মঞ্জুর করে আইডিআরএ।

অপরদিকে কামরুল হাসানের রিভিউ আবেদন নাকোচ করার পর যমুনা লাইফের পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটির চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) মো. শামছুদ্দিনকে মুখ্য নির্বাহী পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করেছে। সেই সাথে কামরুল হাসানকে তার দায়-দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।

রোববার (২ জুন) যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান বদরুল আলম খানের স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানা গেছে।

এর আগে কামরুল হাসানের শিক্ষা সনদের বৈধতা নিয়ে দু’দফা সংবাদ প্রকাশ করে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি।

এর মধ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ‘যমুনা লাইফের মুখ্য নির্বাহীর নিয়োগ নবায়ন: কামরুল হাসান এবার বিএসএস-এমবিএ পাস!’ শীর্ষক সংবাদের জেরে তার সনদ যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয় আইডিআরএ।

২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর ‘অযোগ্য কামরুলকে নিয়োগ দিতে যমুনা লাইফের আবেদন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি। তবেই ওই সংবাদের পরও কামরুল হাসান খন্দকারের নিয়োগ অনুমোদন দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

নিয়োগ না-মঞ্জুরের চিঠিতে আইডিআরএ জানায়, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান খন্দকার তার বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মান সংশোধিত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ প্রবিধানমালা-২০১২ এর (৩)(ক) অনুযায়ী  সমতাকরণ করেননি।

এ ছাড়াও পরবর্তীতে দাখিলকৃত তার ইবাইস ইউনিভার্সিটির দু’টি সনদপত্রের বৈধতার বিষয়েও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)’র প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি কামরুল হাসান খন্দকার।

উল্লেখিত দু’টি কারণে যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে কামরুল হাসানের নিয়োগ নবায়নের আবেদন না-মঞ্জুর করা হয়েছে বলে চিঠিতে জানিয়েছে আইডিআরএ।

সূত্র মতে, কামরুল হাসানের নিয়োগ নবায়নের আবেদন করা হয় ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর। ওই আবেদনে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করা হয় ভারতের উত্তর প্রদেশের ডিমড ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০২ সালে দূরশিক্ষণে এমবিএ পাস।

এই আবেদনের ২৯ দিন পর গত ৬ ডিসেম্বর আইডিআরএ’কে পাঠানো একটি চিঠিতে কামরুল হাসানের শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ইবাইস ইউনিভার্সিটির দু’টি সনদ দাখিল করা হয় এবং সেগুলো তার আবেদনে যুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়।

ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র অনুসারে কামরুল হাসান খন্দকার বিএসএস পাস করেছেন ২০১৯ সালে এবং এমবিএ পাস করেন ২০২১ সালে।

পরবর্তীতে কামরুল হাসানের বিদেশি এমবিএ ডিগ্রির মান সমতাকরণ এবং ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র দু’টির বৈধতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে বলে আইডিআরএ।

তবে কামরুল হাসান তার বিদেশি ডিগ্রির মান সমতাকরণ বা ইবাইস ইউনিভার্সিটির সনদপত্র দু’টির বৈধতার বিষয়ে কোন প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি।

Rephrase with Ginger (Ctrl+Alt+E)