প্রতিষ্ঠাতাদের হাতে প্রাইম লাইফের দায়িত্ব প্রদান ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক: এস আলম গ্রুপের মদদপুষ্ট বর্তমান পর্ষদ ভেঙ্গে প্রতিষ্ঠাতাদের হাতে প্রাইম ইসলামী লাইফ পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর এবং গ্রাহকদের বীমা দাবির টাকা দ্রুত পরিশোধসহ চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন বীমা কোম্পানিটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে তারা এসব দাবি তুলে ধরেন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বেলা ১২টার দিকে র্যালি নিয়ে তারা প্রাইম ইসলামী লাইফের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। বেলা ২টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করেন।
এর আগে রোববার (১৮ আগস্ট) থেকে ৬ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন শুরু করে প্রাইম ইসলামী লাইফের চাকরিচ্যুত এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী। একইসঙ্গে তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজধানীর টয়েনবী সার্কুলার রোডে অবস্থিত বীমা কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রাইম ইসলামী লাইফের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা সোহেল হোসেন হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম, এম এ হাসান, মনির হোসেন সওদাগর, সবুর হাওলাদার, কুদ্দুস মোল্লা, কাজী সালেহ আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
প্রাইম ইসলামী লাইফের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ৬ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- অনৈতিক, অন্যায় ও অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহাল করাসহ পূর্বের সকল সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেয়া।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট জবর দখলদার এস আলম গ্রুপের গঠনকৃত বিদ্যমান অবৈধ পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগসহ বহিষ্কার করা এবং তাদের দ্বারা আত্মসাতকৃত কোম্পানির শত শত কোটি টাকা উদ্ধার ও অনিয়ম প্রতিরোধের লক্ষ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে কোম্পানি পরিচালনার ক্ষমতা হস্তান্তরে অনতিবিলম্বে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
গ্রাহকের আস্থা পূর্বের ন্যায় ফিরিয়ে আনার জন্য মেয়াদপূর্তির টাকা ও মরনোন্তর বীমা দাবি দ্রুত পরিশোধ করা। দখলদার অবৈধ পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক নিয়োগকৃত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা।
দুর্নীতিবাজ, অনৈতিক কাজে সহযোগী, অদক্ষ ও অযোগ্য চীফ কনসালটেন্ট অব বোর্ড রহিম-উদ-দৌলা চৌধুরীসহ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুল আলমকে কোম্পানি থেকে বহিষ্কার করা এবং কোম্পানির শত শত কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতকারীদের আইনের আওতায় এনে অর্থ উদ্ধারসহ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।