লাইফ বীমার সলভেন্সি মার্জিনের গেজেট প্রকাশ, যা আছে প্রবিধানমালায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক ব্যয়, অনাদায়ী প্রিমিয়াম, আসবাবপত্র, সফটওয়্যার, স্টেশনারি মালামালসহ ১০ প্রকারের সম্পদকে শূন্য মূল্য হিসেবে গণ্য করতে হবে লাইফ বীমা কোম্পানির সম্পদ মূল্যায়নে। অর্থাৎ কোম্পানির মোট সম্পদের হিসাবে এসব সম্পদমূল্য দেখানো যাবে না।

এমন বিধান করে গত ২৩ অক্টোবর ‘লাইফ বীমাকারীর সলভেন্সি মার্জিন প্রবিধানমালা, ২০২৪’ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এই সলভেন্সি মার্জিনেও ৬টি প্রবিধান এবং ৩টি তফসিল সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ১৫ অক্টোবর ‘নন-লাইফ বীমাকারীর সলভেন্সি মার্জিন প্রবিধানমালা, ২০২৪’ এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।

লাইফ বীমার সলভেন্সি মার্জিনের প্রবিধান ৩-এ প্রত্যেক লাইফ বীমা কোম্পানিকে সম্পদের মূল্যায়ন বিবরণী প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। প্রবিধান ৪-এ দায়ের পরিমাণের একটি বিবরণী প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। প্রবিধান ৫-এ প্রয়োজনীয় সলভেন্সি মার্জিন এবং সলভেন্সি মার্জিনের একটি বিবরণী প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। আর প্রবিধান ৬-এ নন-লাইফ বীমা কোম্পানির সলভেন্সি অনুপাত নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

লাইফ বীমার সম্পদ মূল্যায়ন বিবরণীতে যা থাকবে-

নগদ এবং নগদতুল্য; সরকারি সিকিউরিটিস (ফেয়ার ভ্যালু অথবা বাজারমূল্য এর মধ্যে যা কম হয়); স্থায়ী আমানত (যে পরিমাণ আদায়যোগ্য হয়); শেয়ারে বিনিয়োগ (ফেয়ার ভ্যালু অথবা বাজারমূল্যের মধ্যে যা কম হয়); মিউচুয়াল ফান্ড (ফেয়ার ভ্যালু, নেট অ্যাসেট ভ্যালু এবং বাজার মূল্যের মধ্যে যা কম হয়); ডিবেঞ্চার/বন্ড (ফেয়ার ভ্যালু এবং বাজার মূল্যের মধ্যে যা কম হয়);

অন্যান্য সিকিউরিটিস (ফেয়ার ভ্যালু অথবা বাজারমূল্যের মধ্যে যা কম হয়); স্থাবর সম্পত্তিতে বিনিয়োগ-স্থাবর সম্পত্তি (ক্রয় মূল্য, অথবা ফেয়ার ভ্যালুর মধ্যে যা কম হয়); অন্যান্য স্পর্শনীয় সম্পদ (ক্রয় মূল্য, অবচায়িত মূল্য, অথবা ফেয়ার ভ্যালুর মধ্যে যা কম হয়) এবং পলিসি বোনাস।

শূন্য মূল্য হিসেবে গণ্য হবে যেসব সম্পদ-

আদায়যোগ্য নয় এরূপ সকল ঋণ; অ-আদায়যোগ্য অগ্রিমসমূহ; আসবাবপত্র, স্থাপিত জিনিসপত্র, ডেড-স্টক, সফটওয়্যার ও স্টেশনারি মালামাল; পূর্বপরিশোধিত খরচসমূহ; লাভ ও ক্ষতির হিসাব সমন্বয় স্থিতি; পুনর্বীমাকারীর ৬ মাস অধিককালের অনাদায়ী স্থিতি; কোম্পানি গঠনে প্রাথমিক ব্যয়সমূহ; অস্পর্শযোগ্য (ইনট্যানজিবল) সম্পদ;

অনাদায়ী প্রিমিয়াম যা ৩ মাসের মধ্যে অথবা আইনের ধারা ৩২ অনুযায়ী নিরীক্ষক কর্তৃক রিটার্ন স্বাক্ষর হওয়া পর্যন্ত, যা পূর্বে ঘটে, সংগৃহীত হয় নাই; এবং এজেন্টের স্থিতি যা আইনের ধারা ৩২ অনুযায়ী নিরীক্ষক কর্তৃক রিটার্ন স্বাক্ষর হওয়া পর্যন্ত সমন্বয় করা হয় নাই।

লাইফ বীমাকারীর সলভেন্সি মার্জিন প্রবিধানমালা, ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন