বিআইএ’র নির্বাচন ২০২৫-২০২৬

নন-লাইফ বীমার প্যানেল ঘোষণা করে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হওয়া কাম্য নয়: বিআইএ প্রেসিডেন্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনে নন-লাইফ বীমা খাতের প্যানেল ঘোষণা করে দু’টি গ্রুপে বিভক্ত হওয়া কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ (পাভেল)। তিনি বলেন, আমি প্রথম থেকেই প্রার্থীদের কোন প্যানেল না করার জন্য অনুরোধ করে আসছিলাম।

কারণ, বিআইএ’র এই নির্বাচনে ভোটার মাত্র ৭৬ জন।  লাইফে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচন হচ্ছে না। নন-লাইফে ১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে হতে যোগ্য ও পছন্দের ১০ জন প্রার্থীকে ভোটাররা সহজেই নির্বাচন করতে পারেন। বরং প্যানেল করাতে এখন দু’টি গ্রুপ হলো। একটি গ্রুপ হলো ঘোষিত প্যানেলের ১০ জন প্রার্থী। আরেকটি গ্রুপ হলো প্যানেলের বাইরের ৯ জন প্রার্থী।

বিআইএ’র নির্বাচনে নন-লাইফ বীমা খাতের প্যানেল ঘোষণা সংক্রান্ত খবরের প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমের কাছে তিনি আরো বলেন, গতকাল রাতে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারলাম, নন-লাইফে ১০ জন প্রার্থীর একটি প্যানেল হয়েছে। পরে এই বিষয়ে প্যানেলের বাইরে থাকা অনেক প্রার্থী আমার কাছে ফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এক্ষেত্রে ভোটারদের সমর্থন ও সহানুভূতি প্যানেলের বাইরে থাকা প্রার্থীদের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মনে করি, ঘোষিত প্যানেলে কিছু যোগ্য প্রার্থী রয়েছে। আবার প্যানেলের বাইরেও কিছু যোগ্য প্রার্থী রয়েছে; যেমন- ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, তায়েফ বিন ইউসুফ, জয়নুল আবেদীন জামাল, এ এন এম ফজলুল করিম মুন্সী, হাসান তারেক, আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরী ।

বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আরেকটি বিষয় আমাকে একটু অবাক করেছে। চেয়ারম্যানসহ ৩ জন পর্ষদ সদস্যকে ঘোষিত প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আর যেকোন প্যানেলই নির্বাচনের অন্তত ১৫ দিন আগেই ঘোষণা করে; প্যানেল নির্বাচনে জয়ী হলে সংঘটনের জন্য কি কি কাজ করবে তাও প্রকাশ করে থাকে।

যাই হোক, বিআইএ’র ভোটারগণ সচেতন, শিক্ষিত ও স্মার্ট। তারা প্যানেলের ভিতর এবং বাইরে থেকে তাদের পছন্দমত সুযোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করে বিআইএ’র নতুন নেতৃত্ব খুঁজে নেবে, এটাই আমার প্রত্যাশা।