পদ্মা ইসলামী লাইফের ৪৬ হাজার টাকার চেক ডিজঅনার

নিজস্ব প্রতিবেদক: পদ্মা ইসলামী লাইফে বীমা করে চেক পেয়েও টাকা পাচ্ছেন না বীমা গ্রাহক। টাকা পাওয়ার চেষ্টায় ক্লান্ত হয়ে এবার অনুরোধ করেছেন ‘পারলে কিছু করেন’।

কলেজের একজন শিক্ষক আব্দুর রহিম। বীমা করেছিলেন ২০০১ সালে। ২০১৫ সালে যখন মেয়াদ শেষ হল তখনই শুরু হল টাকা পরিশোধ নিয়ে হয়রানি। নানা জায়গায় দৌঁড়ঝাপ করে যদিও চেক পেলেন তাও আবার চেকটি ডিজঅনার হয়েছে। এরপর আবারো কোম্পানির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করেও টাকা পাচ্ছেন না।

আব্দুর রহিম তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, আমার পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে ১৫ বছর পুর্তির ম্যাচুউরিটি চেক প্রদান করে গত ৩/৭/২০১৭ তারিখে। যা এখনো আমি পাই নাই। দেখার কেহ নাই। বহু যোগাযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায় নাই। তাদের একাউন্টে টাকা না থাকায় চেক ডিজঅনার হয়েছে। চেকসহ দিলাম পারলে কিছু করেন। আমি কলেজ শিক্ষক হয়ে যে হয়রানির শিকার তাতে সাধারণ মানুষের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। আইডিআরএর মনে হয় কোনো দায়িত্ব নাই।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে গত ২৯ অক্টোবর ময়মনসিংহে ৯ কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিআরএ'র সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানটির ভিডিও সংবাদ প্রচার করে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডির ফেসবুক পেজে পোস্ট দেয়া হয়। ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে বীমা গ্রাহক আবুদর রহিম এমন মন্তব্য করে।

ভুক্তভোগী আবদুর রহিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডিকে তিনি জানান, ২০০১ সালে পদ্মা ইসলামী লাইফে ১৫ বছর মেয়াদী একটি বীমা পলিসি করেন। ১ লাখ টাকা বীমা অংকের পলিসিতে তিনি বছরে প্রিমিয়াম প্রদান করেন ৮ হাজার ৪৫ টাকা। চুক্তি অনুসারে মুনাফাসহ বীমার টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও পদ্মা ইসলামী লাইফ শুধুমাত্র মূল টাকার চেক দিয়েছে বলে জানান আব্দুর রহিম।

কলেজ শিক্ষক আব্দুর রহিম জানান, ১ লাখ টাকার বীমা অংকের জন্য ১৫ বছরে তিনি কোম্পানিকে দেন ১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৫ টাকা। এসময় ৫ দফায় তাকে ৭৫ হাজার টাকা সার্ভাইভাল বোনাস দিয়েছে। ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর পলিসির মেয়াদ শেষ হয়। এরপর চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ মেয়াদোত্তর দাবির আবেদন জানান। নানাভাবে হয়রানির পর গত ৩ জুলাই তাকে ৪৫ হাজার ৬৭৫ টাকার চেক দিয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ।

নানান জায়গায় দৌঁড়ঝাপ করে চেক পেলেও এখন তা নগদায়ন করা যাচ্ছে না। চাঁদপুরের রহিমনগর শাখায় আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে চেক জমা দেয়ার পর কোম্পানির অ্যাকাউন্টে টাকা নেই জানিয়ে তারা চেক ফেরত দিয়েছে। কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের পর গত বৃহস্পতিবার চাঁদপুর জোনাল অফিস আমার চেক জমা নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, ১ মাসের মধ্যে আমাকে চেকের বিপরীতে টাকা প্রদান করবে।

এ বিষয়ে পদ্মা ইসলামী লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো. ওয়াসিউদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।