অবৈধ কমিশন বন্ধে আইডিআরএ'র শেষ চিঠি, না মানলে কঠোর ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বীমা বিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে আইডিআরএ'র সদস্য গকুল চাঁদ দাস বলেছিলেন, আমরা অবৈধ কমিশন বন্ধ করার জন্য বীমা কোম্পানিগুলোকে আরেকবার রিমাইন্ডার দিব। এরপরও কোম্পানিগুলো তা না মানলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এরপরই অবৈধ কমিশন বন্ধ করতে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো শেষ চিঠি দিল বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । গত ৪ মার্চ রোববার কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ১৫% কমিশন দেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দেয়া হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নন-লাইফ বীমাখাতে কমিশন ব্যয়ের সীমা নিয়ে ২০১২ সালের এপ্রিলে কর্তৃপক্ষের জারিকৃত সার্কুলার নম্বর- নন-লাইফ-৩২/২০১২ ও একই বছরের সেপ্টেম্বরে জারিকৃত নন-লাইফ-৩৪/২০১২ নম্বর সার্কুলারের যথাযথ প্রতিপালন ও অনুরসণ করা হচ্ছে না।
সার্কুলার নং নন-লাইফ-৩২/২০১২ অনুসারে, বাংলাদেশে নন-লাইফ বীমা পলিসি ইস্যু করার ক্ষেত্রে কোন বীমাকারী পরিশোধযোগ্য প্রিমিয়ামের পনের শতাংশের (১৫%) অধিক কমিশন অথবা অন্য কোন প্রকার পারিশ্রমিক কোন বীমা এজেন্টকে প্রদান অথবা প্রদানের চুক্তি এবং কোন বীমা এজেন্ট পরিশোধযোগ্য প্রিমিয়ামের ১৫ শতাংশের অধিক কমিশন অথবা অন্য কোন প্রকার পারিম্রমিক গ্রহণ করতে পারবে না।
এছাড়া বীমা আইন, ২০১০ এর ৫৮(১) ধারার বিধান মোতাবেক কোন নন-লাইফ বীমা কোম্পানি বীমা ব্যবসা অর্জন বা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বীমা এজেন্ট বা এজেন্ট নিয়োগকারী বা ব্রোকার ব্যতীত অন্য কাহাকেও প্রিমিয়ামের উপর শতকরা হারে পরিশ্রমিক বা পারিতোষিক পরিশোধ করিবে না।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নন-লাইফ বীমাখাতে ব্যবসা সংগ্রহের প্রতিযোগিতায় কোম্পানিগুলো ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমিশন প্রদান করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত কমিশন দিয়ে পলিসি করায় কোম্পানিগুলো পুনর্বীমা করতে পারছে না। যার প্রভাব পড়ছে বীমা দাবি পরিশোধে।