প্রায় ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে নন-লাইফ খাতের শীর্ষে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স
তাফহিমুল ইসলাম: ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার ব্যক্তি মালিকানাধীন বীমা কোম্পানি অনুমোদনের পর থেকে বর্তমানে ৪৬ টি সরকারি-বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি দেশের বাজারে ব্যবসা করছে। বেসরকারি ৪৫ টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির ২০২০ সালে বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৮শ’ ১৫ কোটি টাকা।
এসব নন-লাইফ কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচে বেশি বিনিয়োগ করেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স। নন-লাইফ খাতে মোট বিনিয়োগের ১২.১৪ শতাংশ রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের। ২০২০ সালে কোম্পানিটির বিনিয়োগ ৫শ’ ৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পেয়েছে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি।
মূলতো কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করে ভবিষ্যতে অর্থ বা সম্পদ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে। রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সও বিনিয়োগ করে তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করেছে। ম্যানেজমেন্টের সঠিক দিক নির্দেশনায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করছেন কোম্পানিটির কর্মকর্তারা।
বীমা কোম্পানিটির ৮ বছরের আগে ২০১৩ সালে মোট বিনিয়োগ ছিল ২৭৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আর ২০২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৫শ’ ৮৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ৮ বছরে ব্যবধানে কোম্পানিটি ৩০৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে।
২০২০ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগ ও অন্যান্য খাতে সর্বমোট আয় করেছে ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ২০১৯ আয় করেছে ৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যা আগের বছর ২০১৮ সালে আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
বিনিয়োগের সাথে সাথে বীমা কোম্পানিটির সম্পদও বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে ২০১৩ সালে মোট সম্পদ ছিল ৪শ’ ৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা আর ২০২০ সালে মোট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৭ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
কাজের সফলতায় কোম্পানিটি এরইমধ্যে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু পদক ও স্বীকৃতিও অর্জন করেছে। ১৯৮৮ সালে অনুমোদন পাওয়া রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে সফলতার জন্য ২০১৯ সালে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু পদক ও স্বীকৃতিও অর্জন করেছে। এরমধ্যে রয়েছে- ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) থেকে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট প্রেজেন্টেট অ্যানুয়াল রিপোর্ট-২০১৮।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) থেকে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর করপোরেট গভার্ন্যান্স এক্সিলেন্স, ২০১৮ এবং সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্টস (এসএএফএ) থেকে সার্টিফিকেশন অব মেরিট ফর করপোরেট গভার্ন্যান্স ডিসক্লোজার-২০১৯।
এসব বিষয়ে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেদ মামুন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে বলেন, আমরা সব সময় গ্রাহকসেবাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তাই বীমা দাবি পরিশোধে আমরা সব সময় সচেষ্ট। শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থকেও আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। বীমা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়া আমাদের অঙ্গীকার আইনের মধ্যে থেকেই আমরা সরকারের রাজস্ব আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আশাকরি আগামীতে আরো ভালো করতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, আর বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে যদি বলি তার পুরো কৃতিত্ব ম্যানেজমেন্টের। তাদের সূদূর প্রসারী চিন্তার ফলে কোম্পানি লাভবান হচ্ছে। বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট কিছু নির্দেশনা দিয়ে দেয়, আমরা নির্দেশনা ফলো করি। এর ফলে আমাদের কোম্পানির বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।