ওরা ৩ জন
সিলেট থেকে মোস্তাফিজুর রহমান টুংকু: ফাতেমা জান্নাত, পারিশা খান আর মমতা। ওরা ৩জনই এসেছেন সিলেট বীমা মেলায়। আগত রথী মহারথীদের ভিড়ে হারিয়ে যাননি তারা। দৃষ্টি কেড়েছেন গণমাধ্যমসহ বীমাখাতের কর্তাদেরও। অনুষ্ঠানের ফাঁকে নিজেদের বীমা পেশায় জড়ানোর গল্প বললেন ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি'কে। জানালেন এ পেশা নিয়ে এগিয়ে চলার কথা।
স্বামী ইঞ্জিনিয়ার, আর আমি জড়িয়েছি বীমা পেশায়- বললেন মমতা।
ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনাই তাকে টেনে এনেছে বীমা পেশায়। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বীমা পেশায় যুক্ত আছেন মমতা। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে।
শুধু অন্যের নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে বীমা বিক্রি করেন না মমতা। নিজের বিপদ-আপদের ক্ষতি কাটিয়ে তুলতেও ৪টি বীমা পলিসি করেছেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে ২ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে বলে জানান মমতা।
সফল সংগঠকও তিনি। জান্নাত ও পারিশা খান তারই হাতে গড়া বীমা কর্মী।
ওদের প্রশংসা করতে কার্পণ্য নেই মমতার। বললেন, ওরা দু'জনই খুব সাহসী ও চঞ্চল। কথাবার্তাও বলে সুন্দর। তাদের এসব গুণই আমাকে আকৃষ্ট করেছে। আর এজন্যই তাদের পছন্দ করেছি বীমা পেশায় টানতে। এরইমধ্যে বেশ সফলতাও দেখিয়েছে পেশায়, যুক্ত করেন মমতা।
বীমা পলিসি বিক্রির পাশাপাশি টেইলরের কাজ করেন ফাতেমা জান্নাত। পড়ালেখা অষ্টম শ্রেণী। সুযোগ পেলে আরো পড়ালেখা করবেন, এগিয়ে যেতে চান বহুদূর- এমনটাই ইচ্ছা ফাতেমার। এক বছর ধরে কাজ করছেন সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে। মমতা আপুই তাকে কাজে এনেছেন বলে জানান ফাতেমা। এখন পর্যন্ত তিনি ৭টি বীমা পলিসি বিক্রি করেছেন।
সিলেটের বীমাখাতে আরেক পরিচিত মুখ পারিশা খান। পড়ালেখা এসএসসি। ৩ বোন ১ ভাই। মমতার হাত ধরে এক বছর ধরে তিনি যোগ দিয়েছেন বীমা পেশায়। ৫টি পলিসি বিক্রি করছেন পারিশা খান। তিনি এগিয়ে যেতে চান এ পেশা নিয়ে।