গ্রাহক স্বার্থ বনাম পরিশোধিত মূলধন

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমাখাতে সাধারণ বীমা এবং জীবন বীমার বেলায় বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ যথাক্রমে ৪০ কোটি ও ৩০ কোটি টাকা।

সাধারণত এই টাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়। বীমা কোম্পানি এই টাকায় হাত দেয়ার বা ব্যবহার করার কোন নিয়ম নাই।

বীমা কোম্পানি সম্পূর্ণভাবে ব্যবসা বন্ধ এবং নিবন্ধন বাতিলের বেলায় কেবলমাত্র এই টাকা ফেরতযোগ্য।

উপরে বর্ণিত পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় অত্যন্ত অপর্যাপ্ত।

জানা মতে, বীমাখাতে বেশকিছু কোম্পানি রয়েছে যাদের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ প্রয়োজনীয় মূলধনের অনেক নীচে অবস্থান করছে।

এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে যেখানে বীমা গ্রাহকের স্বার্থ নিবিড়ভাবে জড়িত।

অতীতে এই পত্রিকায় বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি হলেও আশ্চার্যজনকভাবে বীমা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

এ কথা মনে রাখতে হবে যে, বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা বীমা নীতির একটি অন্যতম প্রধান লক্ষ এবং উদ্দেশ্য।

আশা করি বিষয়টির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে এবং বীমা গ্রহকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) যে সমস্ত বীমা কোম্পানি এ ব্যাপারে বীমা আইন ভঙ্গ করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার শিথিলতা বা নিস্ক্রিয়তা বীমাখাতের জন্য এক ভয়াবহ সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে।