তৃতীয় পক্ষ মোটরগাড়ি বীমায় মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের বর্তমান টাকার পরিমাণ প্রসঙ্গে

কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইন করে তৃতীয় পক্ষ মোটর বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বীমার মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন ঝুঁকি, যেমন- মৃত্যু, শারীরিক অনিষ্টতা এবং সম্পত্তির ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এখন দেখা যাক আন্তর্জাতিক বীমা বাজারে প্রচলিত টাকার অংকের পরিমাণ।

মৃত্যু: ‘X’ পরিমাণ টাকা (সংযুক্ত আরব আমিরাতে বর্তমানে যার পরিমণ ২ লাখ দেরহাম)।

শারীরিক অনিষ্টতা: অপরিমিত এবং

সম্পত্তির ক্ষতি: প্রকৃত ক্ষতির অংকের পরিমাণ।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, রোড ট্রাফিক অ্যাক্ট ২০১৮ অনুযায়ী মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বাবদ নির্ধারিত টাকা ২০ হাজার। যা দেশের বর্তমান সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং দুর্মূল্যের বাজারে নিতান্তই অপ্রতুল বা যৎসামান্য।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সময়ে সময়ে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ পুনর্মূল্যায়ন (ঊর্ধ্বগতি) করা হয়। এই পুনর্মূল্যায়নের বেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করা হয়। যেমন- দেশের বর্তমান সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা, মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি।

আমার জানা মতে, বর্তমান মৃত্যুর ক্ষতির টাকার অংকের পরিমাণের উৎস ইন্স্যুরেন্স অ্যাক্ট ১৯৩৮। যা দীর্ঘ প্রায় ৮৩ বছর পরও অপরিবর্তিত রয়েছে।

এখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, ’সেই সময়’ আর ’এই সময়’ কি এক! নিশ্চয়ই নয়।

বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে, মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ন্যূনতম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়।

এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির সাথে সাথে থার্ড পার্টি মোটর বীমার প্রিমিয়াম সাধারণত বৃদ্ধি করা হয়।

অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগী মৃত বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির অধিকাংশই সাধারণ এবং দরিদ্র বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অংশ।

আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দেখবে।