বীমা খাতে নীতিনির্ধারকদের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: এ কথা বললে মোটেই অত্যুক্তি হবে না যে, বীমা খাতে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে নীতিনির্ধারকরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।

এর জন্য বীমা খাতে পেশাগত এবং দক্ষ জনবলের অভাবকেই মূলত দায়ী করা যেতে পারে।

এটি বীমা খাতের জন্য সত্যিই একটি দুঃখজনক ব্যাপার।

দৃষ্টান্তস্বরূপ, দেশে বর্তমানে কোন প্রকার মোটর বীমার অনুপস্থিতি বা অভাব বীমা খাতকে এক অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় নিক্ষিপ্ত করেছে, যা অচিন্তনীয় এবং এক লজ্জাস্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

এ ব্যাপারে বীমা কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বহির্বিশ্বের তথা সার্কভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

এই ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত বীমার কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় বহন করে। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে বাধ্যতামূলক তৃতীয় পক্ষ (Third Party) মোটর বীমা ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চলাচলের অনুমতি আছে বলে অন্তত আমার জানা নেই।

এবার অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক।

আন্তর্জাতিক শ্রম আইন অনুযায়ী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমিকদের জন্য ওয়ার্কার্স কম্পেন্সেশন (Worker’s Compensation) বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে এ ব্যাপারেও বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের চেয়ে পেছনে অবস্থান করছে।

উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, প্রচলিত আইনসমূহ কেবলমাত্র মালিকপক্ষের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রবর্তন করা হয়েছে, যা মোটেই জনবান্ধব বা শ্রমিক বান্ধব নয়।

আশা করি বাংলাদেশ সরকার এবং বীমা কর্তৃপক্ষ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করে সঠিক এবং সুস্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং অনতিবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানে কার্যকরী এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।