বীমা আইনে দাবি পূরণের সুনির্দিষ্ট সময় প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা আইন ২০১০ অনুযায়ী সার্ভেয়ারের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বীমা কোম্পানি বীমাগ্রহীতাকে দাবির শতভাগ টাকা পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
অথচ ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড স্পষ্টভাবে এই আইন ভঙ্গ করে বীমা গ্রাহক মেসার্স আফিল পেপার মিলস লিমিটেডকে দাবির সর্বমোট ২৮ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৫০ টাকার মধ্যে গত প্রায় আড়াই বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন সময়ে খণ্ড খণ্ডভাবে এ পর্যন্ত মাত্র ২২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
এ ব্যাপারে বীমাগ্রহীতা আফিল পেপার মিলস লিমিটেড কর্তৃক বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ পত্রের (সূত্র নং এপিএমএল/এমডি/২০২১/১৮৩৭, তারিখ ১১-০৪-২০২১) উল্লেখ করা যেতে পারে।
বীমাগ্রহীতার অভিযোগ অনুযায়ী সুদীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর নিকট থেকে এখন পর্যন্ত ৬ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৫০ টাকা সম্পূর্ণ দাবি পরিশোধ বাবদ বাকি রয়েছে।
তথ্যমতে পুনর্বীমা কোম্পানি সাধারণ বীমা করপোরেশন এবং কো-ইন্স্যুরার অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সময় মতো তাদের দাবির টাকা বীমা কোম্পানিকে পরিশোধ করেছে।
বীমা কর্তৃপক্ষের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা করা।
বীমা কর্তৃপক্ষ আইন ভঙ্গকারী বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটাই সংশ্লিষ্ট সকলের দাবি।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পুনর্বীমার টাকা পরিশোধের পাশাপাশি বীমা খাতে গ্রাহকসেবা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে এসবিসি আরো একটি অতিরিক্ত ভূমিকা বা দায়িত্ব পালন করতে পারে। আর সেটা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বীমা গ্রাহকের দাবির টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা।
প্রয়োজনে সাধারণ বীমা করপোরেশন এ ব্যাপারে পুনর্বীমা চুক্তিতে এক বিশেষ শর্ত জুড়ে দিতে পারে।
ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মত কতিপয় বীমা কোম্পানির বে-আইনী কর্মকাণ্ডের কারণে সমগ্র বীমা খাত বদনামের ভাগিদার হচ্ছে।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।