দেউলিয়ার পথে ফারইস্ট, নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায় কোথায়!
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: ‘শূন্যের কোঠায় ফারইস্ট ইসলামী লাইফের সম্পদ, গ্রাহকের পাওনা পৌনে ৮শ’ কোটি টাকা’ -সম্প্রতি এমনই একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি।
যেখানে বীমা গ্রাহকদের দাবি পরিশোধে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের আর্থিক সংকটের চিত্র উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনটিতে দেখা যাচ্ছে যে, হাজার হাজার বীমা গ্রাহককে খাদের কিনারায় রেখে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি দেউলিয়া হওয়ার পথে।
প্রশ্ন হলো, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে আইডিআরএ এতো দিন কী করছিল।
ওই বীমা কোম্পানিতে যা ঘটছে তার সবই তারা জানত। এই অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিশ্চয়ই রাতারাতি ঘটেনি! এটা নিশ্চয়ই দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসছে।
আইডিআরএ কেন সময়মতো রেড সিগন্যাল জারি করেনি? তাহলে আইডিআরএ এর কাজ কি? আইডিআরএ কেন পরিস্থিতি উত্তরণে সময়মতো হস্তক্ষেপ করেনি সে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার।
যখন দেখা গেলো এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোন আশা নেই, তখন কেন তারা এমন একটি গুরুতর সমস্যাকে এতটা বাড়তে দিল।
প্রতিবেদন অনুসারে বীমা গ্রাহকদের কাছে তাদের প্রায় ৭৮০ কোটি টাকা দায় রয়েছে, যা দাবি নিষ্পত্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হবে।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এখন কোথা থেকে এত বড় অঙ্কের টাকা সংস্থান করতে যাচ্ছে? এই বিশাল দায় মেটাতে তাদের কি যথেষ্ট সম্পদ আছে?
এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের পরও আইডিআরএ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কীভাবে বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকে নির্বিঘ্নে মুক্ত হতে দিল?
এগুলো এমন কিছু গুরুতর প্রশ্ন যা আইডিআরএ দ্বারা ব্যাখ্যা করা দরকার। এই বিষয়ে তারা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে সরে আসতে পারে না। তারা তাদের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
সামগ্রিকভাবে তাদের দায়িত্বে অবহেলা এবং দৃশ্যত বীমা গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।