বীমা সার্ভেয়ারদের পেশাগত শিক্ষা এবং যোগ্যতা প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই : পেশাগত শিক্ষার ভিত্তিতে বীমা খাতে বর্তমানে হয়তো হাতে গোনা কিছু সার্ভেয়ার রয়েছে। যারা সত্যিকার অর্থে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।
ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাজুয়েট ও পোস্টগ্রাজুয়েট ইত্যাদি সার্ভেয়ারদের পেশাগত শিক্ষার মধ্যে পড়ে না।
সার্ভেয়ারদের নিবন্ধন পেতে হলে নূন্যতম ভাবে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি থেকে ইন্স্যুরেন্স ডিপ্লোমা এবিআইএ সহ দেশে অথবা বিদেশে সার্ভে এবং ক্ষতি নিরূপণের উপর উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
বহির্বিশ্বের পেশাগত শিক্ষার মানের একটি চিত্র নিম্নে তুলে ধরা হলো।
অধিকাংশ (প্রায় শত ভাগ) বীমা সার্ভেয়ার/ ক্ষতি নিরুপণকারী এসিআইআই (এসোসিয়েট অফ চার্টার্ড ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট) লন্ডন, এসিএলএ (এসোসিয়েট অফ চার্টার্ড লস এডজাস্টার) লন্ডন থেকে প্রাপ্ত আবার কেউ কেউ বীমা পেশায় সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী এফসিআইআই, এফসিএলএ।
তাহলে তাদের কাজের উৎকর্ষতা আন্তর্জাতিক মানের হবে এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের বীমা খাতে সার্ভেয়ারদের পেশাগত শিক্ষার অভাবের প্রতিফলন তাদের কাজের মধ্যে পাওয়া যায়।
আন্তর্জাতিক মানের কথা ছেড়ে দিন, আমরা যদি সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশ সমূহের সাথেও নিজেদের তুলনা করি তাহলে নিঃসন্দেহে মানগত দিক থেকে আমরা অনেক পেছনে পরে আছি। আর এটি বাংলাদেশের বীমা খাতের জন্য মোটেই ভালো খবর নয়।
বীমা খাতে নিয়োজিত সার্ভেয়ারদের কাজের মান অন্তত সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সমপর্যায়ে আনতে হলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ সহ বীমা খাতের সাথে সকলকে এ সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে হবে। তা না হলে বীমা খাতের ভবিষ্যৎ একপ্রকার অন্ধকার এ কথা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় ।