বঙ্গবন্ধু বীমা শিল্পে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এটা আমাদের সৌভাগ্য
এ কে এম মনিরুল হক: আজ ১ মার্চ বীমা দিবস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দিন তার কর্মস্থলে যোগদানের দিন। ১৯৬০ সালের এই দিন তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেছিলেন। তাই এই লগ্নটা বাংলাদেশের বীমা শিল্পের জন্য সৌভাগ্য যে, বঙ্গবন্ধু তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন আমাদেরই কর্মস্থলে। যা এই বীমাশিল্পের জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ এবং এই বীমাশিল্পের জড়িতদের জন্য অতীব সম্মানজনক। যদিও তিনি আলফা ইন্স্যুরেন্সে কাজের আড়ালে বাঙালীদের সংগঠিত করছিলেন স্বাধীকার আন্দোলনের। আর ঐতিহাসিক ছয়দফা এই আলফা ইন্স্যুরেন্সেই রচিত হয়। তাই দেশের স্বাধীনতার জন্য বীমা শিল্পের একটা বিশেষ অবদান আছে সেই সুবাদে।
মার্চ মাস প্রতিটি বাঙ্গালির জীবনে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ মাস। পহেলা মার্চ, সাতই মার্চ, সতের মার্চ আর ছাব্বিশে মার্চ। পহেলা মার্চ বঙ্গবন্ধুর কর্মস্থলে যোগদান দিবস, যা বীমাশিল্পের জন্য মাইলফলক। ঐতিহাসিক সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন সেই জগত বিখ্যাত ভাষণের মাধ্যমে। সতেরই মার্চ বঙ্গবন্ধুর শুভজন্মদিন- যেই জন্মদিনের সাথে আমাদের স্বাধীনতার জন্মদিন জড়িত হয়ে আছে। আর ছাব্বিশে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস- যা বঙ্গবন্ধুর মিশনের চূড়ান্ত ফসল।
পহেলা মার্চ বীমাশিল্পে বঙ্গবন্ধুর যোগদানকে স্মরণ করতে আমরা বীমাশিল্পে জড়িতরা প্রতি বছর এইদিনটিকে বীমা দিবস হিসেবে পালন করি। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিবস পালনে বহুমাত্রিক রূপ দিয়েছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সক্রিয় অংশগ্রহণে।
এই বছর পহেলা মার্চকে ঘিরে বীমা দিবসের পাশাপাশি পুরো মার্চ মাসকে বীমা সেবা মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এই স্লোগানে– ‘বীমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে’। তাই পুরো মাস জুড়েই থাকবে বীমাশিল্পের কর্মযজ্ঞ। বিশেষ গ্রাহক সেবা, নতুন বীমা প্রডাক্ট নিয়ে কাজ। যেহেতু বঙ্গবন্ধু আর তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মেহনতী মানুষকে ঘিরেই চিন্তাভাবনা, তাই প্রান্তিক জনগণের জন্য বীমার প্রডাক্ট, সেই সাথে প্রতিবন্ধীদের জন্য বীমার প্রডাক্ট চালুর বিষয়ে বিরাট ভূমিকা থাকবে এই বীমা সেবা মাসটাকে সামনে রেখে।
বর্তমান সরকারের দেশ ও জনগণকে সেবাদানের জন্য সবচেয়ে যে বিষয়টির উপর জোর দিয়েছেন তা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। তাই মধ্যম মানের দেশ হিসেবে আজ ডিজিটালাইজেশনে আমরা অনেক এগিয়ে।
আর আমরা নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এই বিষয়টিকে কোম্পানির জন্মলগ্ন থেকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। ফলে আমরা ডিজিটালাইজেশনে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় কয়েক ধাপ এগিয়ে।
পহেলা মার্চ বীমা দিবস, আর মার্চ মাসকে বীমা সেবা মাস হিসেবে সামনে রেখে আমরা নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি InsuRobo নামে একটি ভার্চুয়াল চ্যাটবট চালু করছি কোম্পানিকে আরেক ধাপ ডিজিটালাইজেশনে উন্নীত করতে। এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম দ্বারা আমাদের গ্রাহকের সাথে ডিজিটালি আমাদের নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সংযোগ স্থাপিত হবে। আমাদের গ্রাহক যেনো সব সময় (২৪/৭) আমাদের সাথে লাইভ মেসেজ সংযোগে থাকতে পারে সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই চ্যাটবট চালু করার উদ্দেশ্য। InsuRobo হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রোগ্রাম, যার দ্বারা আমাদের গ্রাহক খুব সহজেই আর তাৎক্ষণিকভাবে তার বীমাবন্ধু আর প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স প্রোভাইডার নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পনির সাথে বীমা সেবা নিতে যোগাযোগ করতে পারবেন।
আশাকরি, আমাদের প্রিয় বীমা গ্রাহকেরা আমাদের এই ভার্চুয়াল প্রতিনিধি InsuRobo এর সাথে নিয়ত যোগাযোগ রেখে সর্বোচ্চ সেবা নিতে সচেষ্ট হবেন।
আজ পহেলা মার্চ মঙ্গলবার নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ঢাকার গুলশানে প্রধান কার্যালয় পুলিশ প্লাজা ছয় তলায়, আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল চ্যাটবট উদ্ভোদন করা হবে।
বীমা দিবস, বীমা সেবা মাস আর নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ডিজিটাল প্লাটফর্ম উদ্ভোদন উপলক্ষে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা, শুভকামনা। আর এইসকল কর্মসূচির সাফল্য লাভের জন্য আল্লাহ সুবহানাতা'আলার কাছে বিশেষ প্রার্থনা করি।
লেখক: চেয়ারম্যান, নিটল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।