অবহেলিত বীমা কর্মীরা

শামছুল আলম: ১ মার্চ ২০২২ জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে সারা বাংলাদেশে। অবশ্য দিবসটি আমরা পেয়েছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবদানের কারণে। তিনি বীমা পেশায় চাকরি করার সুবাদে। এবারের শ্লোগান  “বীমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে”।

একমাত্র বীমাই সুরক্ষা দিতে আপনার এবং আপনার সম্পদের। অনাকাংখিত দুর্ঘটনা থেকে বীমাই আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে আর্থিকভাবে। বীমার বিকল্প এখনো অন্য কোন পন্থা দ্বিতীয়টি নেই। তাই সবার উচিত বীমা পলিসি গ্রহণ করা।

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে বীমা পরিবারের একজন মনে করেন। আমি বীমা পেশার একজন কর্মী হয়ে কথাটি শুনে বেশ ভালো লাগলো যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাথে আছেন। কিন্তু আমরা যারা বীমা পেশায় আছি তাদের এতটুকু খবর কি কেউ রাখেন?

আমরা যারা বীমা পেশায় আছি তারা যে অবহেলিত ও বেতন বৈষম্যের স্বীকার।

বর্তমানে ছোট খাট একটি প্রাইভেট কোম্পানির নন-মেট্টিক পিয়ন দশ থেকে পনের হাজার টাকা মাসিক বেতন পান। অথচ বীমা পেশার একজন কর্মী স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাশ করে এসে এখানে পিয়নের সমপরিমাণ বেতন পান না। কি যে লজ্জা আর অপমানবোধ হয় নিজের কাছে।

বর্তমান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ মাঝে-মধ্যে দু- একটি সার্কুরার জারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বাকী যেসব সংস্থা আছে তারা তো বীমা পেশার কর্মীদের জন্য চিন্তাই করে না।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিকট বিনয়ের সহিত আবেদন করছি বীমা পেশায় জড়িতদের বেতন বৈষম্য দূর করার জন্য অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন।

লেখক: ম্যানেজার (অবলিখন), ইষ্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।