বাংলাদেশের মটর ইন্স্যুরেন্স ও সভ্যতার দায়বদ্ধতা
এ কে এম মনিরুল হক: দেরিতে হলেও সাম্প্রতিককালের মটর ইন্স্যুরেন্স নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে তা নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকলেই যে উদ্যোগ নিয়েছেন এর ফলে ইন্স্যুরেন্স সেক্টরে আশার আলো দেখা দিয়েছে এবং এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
দেরিতে বললাম এই কারণে যে ২০১৮ সালে মটর ইন্স্যুরেন্স থার্ডপার্টি বাতিল সংক্রান্ত যে আইনটি পাশ হল এবং তার আগে যে আলাপ আলোচনা হচ্ছিল সে বিষয়ে বীমা সংশ্লিষ্টদের আলাপ-আলোচনা বা বাদ-প্রতিবাদ তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না বা এ বিষয়ে খুব একটা দেন-দরবার হয়েছে বীমা সংশ্লিষ্টদের কর্তৃক তারও যুৎসই প্রমাণ নেই।
ফলে আইনটি পাশ এবং পরবর্তীতে যখন এর প্রয়োগ শুরু হলো আর ইন্স্যুরেন্স মার্কেটে নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট পরলো তখনই বীমা সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ে উঠলো! বিশেষ করে যখন বিআরটিএ ঘোষণা দিল যে, গাড়ির মালিককে ইন্স্যুরেন্স করা বাধ্যতামূলক নয় এবং ইন্স্যুরেন্সের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আর জরিমানা করা হচ্ছে না। তখন মটর প্রিমিয়াম খাতে বিশাল অংকের আয়ে ঘাটতি দেখা দিল।
ফলে অনেক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্রাঞ্চ অফিসগুলোর আয় ড্রাস্টিক্যালি কমে গিয়ে ব্রাঞ্চ অফিসগুলো বন্ধ হয়ে যাবার উপক্রম, তখন সংশ্লিষ্ট সকলে একটু নড়েচড়ে বসলেন বলে মনে হয়। আর তাছাড়া ২০২০-২১ বা ২০২১-২২ সালে সরকারের এক্সচেকারেও মটর বীমার আয় থেকে উপার্জিত ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং হবে যদি মটর বীমা বাধ্যতামূলক করা না হয়।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো যখন আইনটি পাস হলো মটর মালিক সমিতি ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর উদ্যোগ আর চাপে তখন কিন্তু এই খাতের স্টেকহোন্ডার একটি অংশ হিসেবে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন। ফলে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে কোনরূপ ভূমিকা পালন করা সম্ভব হয়নি এবং যুগোপযোগী মটর বীমা পলিসি উপস্থাপন করা যায়নি।
শুধু বাংলাদেশ না, পৃথিবীর অনেক দেশ বিশেষ করে অনুন্নত থার্ড ওয়ার্ল্ডের দেশগুলোতে ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক না করলে কেউ করতে চায় না। তাই কর্তৃপক্ষ দেশকে সভ্যতার মানদণ্ডে নেয়ার জন্য কিছুকিছু ক্ষেত্রে ইন্স্যুরেন্সকে বাধ্যতামূলক করতে বাধ্য হয়। তেমনি বাংলাদেশসহ আমাদের আশেপাশের সার্কভুক্ত দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল অর্থাৎ এই উপমহাদেশের দেশগুলো ছাড়াও ইউরোপ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মটর ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক। অন্তত পক্ষে মটর থার্ডপাটি ইন্স্যুরেন্স ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চালানো যাবে না।
বাংলাদেশের সাথে ইউনাইটেড আরব আমিরাতের ইন্স্যুরেন্স আর মটর ভেহিক্যাল আইনের অনেক মিল আছে! হতে পারে সেই সময়ের দু’দেশের শাসক লে. জে. মো. এরশাদ আর জায়েদ বিন নাহিয়ানের বন্ধুত্বের কারণে।
পার্থক্য শুধু এই যে সেই আইনকে সময় সময় পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করে কঠোরভাবে প্রয়োগ করে ইউএই একটি সভ্যদেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে পৃথিবীর বুকে আর আমরা বাংলাদেশ দুর্নীতি আর ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সেই আইনকে তোয়াক্কা না করে, সাধারণ মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মটর ইন্স্যুরেন্স থার্ডপার্টি লায়াবিলিটি আইনকে কাটাছেঁড়া করে বাদ দিয়ে এন্টিসিভিলাইজেশন হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছি।
তাই সরকার ঘোষিত মধ্য আয়ের দেশ সেই সাথে ভবিষ্যতে একটি সুসভ্য উন্নত আয়ের দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার যে বদ্ধপরিকর তার জন্য অচিরেই মটর থার্ডপার্টি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্সকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত বা সংযোজন করে নিজেদেরকে সভ্যতার অংশীদার হিসেবে প্রমাণ করতে এগিয়ে আসতে হবে সংশ্লিষ্ট সকলকে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রতিবছর গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। তার আগে গাড়ির ফিটনেসের জন্য আরটিএর এনলিস্টেড কোম্পানির কাছে গাড়ির ফিটনেসের জন্য পাসিংআউট করাতে হয়। যেখানে ম্যানুয়ালি আর ডিজিটালি গাড়ির প্রতিটি অংশ (ইঞ্জিন, অন্যান্য পার্টস, চাকা, ডেন্টিং পেন্টিং) চেক করে সবকিছুর উল্লেখ করে রিপোর্ট আর পাস সার্টিফিকেট দেয়।
যদি কোনো অংশ খারাপ থাকে তাহলে পাস করে না। তবে সুযোগ দেন, রিপোর্ট অনুযায়ী ঠিক করে আবার পাসিং আউটের! পাসিং আউটের সার্টিফিকেটর একটি কপি গাড়ির মালিকেকে দেয়া হয় আর অনলাইনে আরটিএ অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পাসিং আউটে পজেটিভ রেজাল্ট পাওয়ার পর গাড়ির মালিক যান ইন্স্যুরেন্স করতে! সেক্ষেত্রে মিনিমাম থার্ডপার্টি ইন্স্যুরেন্স নিতে হবে! ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি পলিসির একটি কপি বীমাগ্রহীতা অর্থাৎ গাড়ির মালিককে দেন আবার অনলাইনে আরটিএ অফিসে পাঠিয়ে দেন! অর্থাৎ প্রতিটি সংস্থাই গাড়ির মালিকের রেজিস্ট্রেশন নাম্বারকে বা ন্যাশনাল আইডির নাম্বারকে মূলধরে আরটিএ’র অ্যাপসে লোড করে দেন।
অতপর গাড়ির মালিক আরটিএ অফিসে গিয়ে তার রেজিস্ট্রেশনের স্মার্টকার্ডটি কাউন্টারে প্রদর্শন করলে, কাউন্টার থেকেই বলে দেয় তার পাসিং আউট আর ইন্স্যুরেন্স করা আছে আর সারাবছর তার ট্রাফিক ফাইন এত জমা হয়েছে। যদি ফাইন নিদিষ্ট সময়ে না দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের সময় দেয় তবে কিছুটা বাড়তি লেটফি গুণতে হয়! আর যদি অনলাইনে হ্যাংগ বা মেকানিকাল কারণে পাসিংআউট বা ইন্স্যুরেন্স পলিসি প্রদর্শন না করে তবে ম্যানুয়ালি গাড়ির মালিকের কাছে থাকা হার্ডকপির উপর নির্ভর করে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায় ফিস আর ফাইন জমা দেয়ার পর।
উল্লেখ যে, পাসিং আউট, ইন্স্যুরেন্স, ফাইন প্রদান (যদি থাকে) আর নির্ধারিত ফিস ছাড়া রেজিস্ট্রেশন হবে না। রেজিস্ট্রেশনের পর নতুন স্মার্ট কার্ড ছাড়াও রেজিষ্ট্রেশনটি কবে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে তার একটি স্টিকার গাড়ির নাম্বার প্লেটের সাথে লগিয়ে দেয়া হয় যা দেখে পুলিশ বুঝতে পারে তার গাড়িটি আরটিএ কর্তৃক রেজিস্টার্ড৷
পুলিশ নাম্বার প্লেট দেখেই বুঝতে পারে যদি রেজিস্ট্রেশনের ডেট এক্সপায়ার হয়। তখন সে ধরে ফাইন করে দিতে পারে। আবার অনেক সময় গুপ্ত ক্যামেরাতে ধরা পরার আশংকা থাকে। আর রেজিস্ট্রেশনের স্মার্ট কার্ডে ইন্স্যুরেন্স পলিসি নাম্বার লেখা থাকে এক্সপাইরি ডেট সহ। ফলে পুলিশ সহজেই ইন্স্যুরেন্সের ক্লেইম দেয়ার নির্দেশনা দিতে পারে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে।
ইন্স্যুরেন্স ১৩ মাসের জন্য করা হয়। যেনো রেজিস্ট্রেশন মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও একমাসের একটি ব্রিসিং সময় পান গাড়ির মালিক রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার জন্য। এরপরও যদি রেজিষ্ট্রেশন করতে ডিলে করে তবে ফাইন গুণতে হয় গাড়ির মালিককে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে প্রতিবছর গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, রেজিস্ট্রেশন করতে গাড়ির ফিটনেস পাস করাতে হয়, ইন্স্যুরেন্স করতে হয় (মিনিমাম থার্ডপার্টি) আর শুধু সারা বছরের জরিমানাগুলো আর রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিলেই নতুন রেজিস্ট্রেশন স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবে। আবার উপরিউক্ত প্রক্রিয়াটি পুরোটাই অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারবেন একজন গাড়ির মালিক। খালি পাসিং আউটে ফিজিক্যালি গাড়ি নিয়ে যেতে হবে! এই হচ্ছে একটি সভ্য দেশে গাড়ি চালনার মিনিমাম নিয়মকানুন।
সভ্য সমাজের অনেকগুলো মানদণ্ডের একটি ও প্রধান মানদণ্ড হচ্ছে দায়বদ্ধতা। নিজের এবং অন্যের প্রতি দায়বদ্ধতা। যে দেশের জনগণ ও সমাজের দায়বদ্ধতা বেশি সেই দেশ তত সুসভ্য। আর এই দায়বদ্ধতা পালনকে সহজিকরণে লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্সের উদ্ভব হয়েছে আধুনিক অর্থনীতি চালনায়।
তাই প্রথমে আমাদের এই মর্মে একমত হতে হবে যে, নিজেকে সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে দাবিদার হতে হলে, রাস্তায় গাড়ি চালাতে হলে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতাকে এড়াতে পারি না, বিশেষ করে গাড়ি চালাতে গিয়ে সাধারণ মানুষ আর তৃতীয় পক্ষের সম্পদের হেফাজতকে মাথায় রেখে গাড়ি চালাতে হবে।
তাই গাড়ির যে, কোনো দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বা সম্পদের ক্ষতিপূরণ গাড়ির মালিককে বহন করতে হবে! আর গাড়ির মালিক এই ক্ষতি আধুনিক অর্থনীতির মেকানিজম ইন্স্যুরেন্স দ্বারা তা পুরণ করবেন! সেই কারণে রাস্তায় গাড়ি নামাতে বা চালাতে হলে মটর বীমা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এখন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মটর কম্প্রিহেন্সিভ ইন্স্যুরেন্স করতে না পারলেও অন্ততপক্ষে মটর থার্ডপাটি লায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলককে আবার পুনঃসংযোজন করতে হবে।
আর বাংলাদেশে কোনো মটর দুর্ঘটনার পরপর সবচেয়ে যে পক্ষের বেশি ইনভলভমেন্ট তারা হচ্ছেন থার্ডপাটি। মানে আমজনতা। তারা গাড়ি ভাংচুর করবে কিন্তু নিজেদের হিস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়৷
তাই এ ব্যাপারে অ্যাওয়ারনেস জাগাতে হবে! দুর্ঘটনার পর যাত্রী বা রাস্তার লোকেদের ক্ষতিপূরণ। মৃত্যুজনিত বা চিকিৎসাজনিত খরচ, আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত প্রপার্টির ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির ব্যাপারে যদি জানা থাকে তবে আস্তে আস্তে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা কমে যাবে। যার দরুন পালাতে গিয়ে ড্রাইভার আরো এক্সিডেন্ট করে বসে। তাই থার্ডপার্টি মটর বীমার প্রতি বেশি জোর দিতে হবে বা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
খুব সহজ সরলভাবে যদি আমরা সরলীকরণ করি উপরের উল্লেখিত কথাগুলোকে তা হলে বলতে হয়:
১। মটর বীমা বাধ্যতামূলক করা।
২। কম্প্রিহেনসিভ মটর বীমা যদি বাধ্যতামূলক করা হয় তবে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতাকে বিবেচনায় রেখে প্রিমিয়াম, কমপেনসেশন ও অন্যান্য বিষয়কে সামনে এনে তাদের ক্রয় ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি রুলস অব বিজনেসের নির্দেশনা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক।
৩। কম্প্রিহেন্সিভ মটর বীমাকে বাধ্যতামূলক না করে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থাকে বিবেচনায় এনে এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর আদলে থার্ডপার্টি মটর বীমাকে বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। যেন মিনিমাম বীমা পলিসি নিয়ে মটর মালিক তার দায়বদ্ধতাকে সামাল দিতে পারেন।
৪। থার্ডপাটি মটর বীমাকে বাধ্যতামূলক করতে-
ক. বর্তমান প্রিমিয়ামের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
খ. বর্তমান ক্ষতিপূরণের অংক বাড়াতে হবে।
গ. ক্ষতি বা দাবি পূরণের প্রক্রিয়াকে সহজিকরণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আদালতে স্থায়ী বেঞ্চ গঠন করে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাশীঘ্র ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘ. নির্ধারিত লিমিটের পরও আদালতের ডিক্রির উপর প্রাধান্য দিয়ে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে কেইস টু কেইস বেসিস।
এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাইভেট ভেহিক্যাল মটর কম্প্রিহেনসিভ বীমার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সেন্ট্রাল রেটিং কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত ‘নিরাপদ’ কম্প্রিহেনসিভ বীমা ব্যাপকভাবে চালু করা যেতে পারে। প্রয়োজন হলে যদি বীমা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তাহলে আরো কিছু পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করে এই ইউনিক মটর ইন্স্যুরেন্স প্রডাক্টকে ব্যাপকভাবে চালু করা যায়!
ফলে প্রাইভেট মটর গাড়ির বীমাগ্রহিতা যেমন একটি প্রিমিয়াম সাশ্রয়ী ও সঠিক বীমা কাভারেজ সহ সবদিক থেকে একটি যুগোপযোগী পলিসি পাবেন সেই সাথে তৃতীয় পক্ষের দায়বদ্ধতাকেও সামাল দিতে পারবেন একজন সভ্য গাড়ির মালিক হিসেবে। আর সরকারও জনগনের সেবাসহ এক্সচেকারে একটি পরিমাণমত ট্যাক্স ঢুকাতে পারবেন অনায়াসে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এই যুগোপযোগী মটর ইন্স্যুরেন্স প্রডাকটটাকে সংশ্লিষ্ট কোনো পক্ষই গুরুত্ব দিচ্ছি না বলে প্রতিয়মান হচ্ছে। কেননা এই প্রোডাক্ট ব্যাপকভাবে চালু হলে অনেকটা সমস্যার সমাধান হবে বলে বিবেচ্য।
লেখক: চেয়ারম্যান, নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।