বাংলাদেশের মোটর ইন্স্যুরেন্স ও সভ্যতার দায়বদ্ধতা

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: এই পত্রিকায় ১৬ জুলাই প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের মটর ইন্স্যুরেন্স ও সভ্যতার দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক প্রতিবেদনের স্বপক্ষে নিম্নে আমার মতামত দেয়া গেল।

সুদীর্ঘ প্রায় চার দশক দুবাইতে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) বীমা খাতে কাজের সুবাদে আমার অভিজ্ঞতা পাঠক এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে শেয়ার করতে চাই।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে পৃথিবীর অধিকাংশ সভ্য দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোটর অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষ মোটর বীমা (Third Party Motor Insurance) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

তৃতীয় পক্ষ মোটর বীমায় যে সকল ঝুঁকি আবরিত:

১। তৃতীয় পক্ষের মৃত্যু (Death).

২। তৃতীয় পক্ষের শারীরিক অনিষ্টতা (Badly Injury) এবং

৩। তৃতীয় পক্ষের সম্পত্তির ক্ষতি (Property Damage).

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাধারণত প্রতি ১০ থেকে ১৫ বছর অন্তর অন্তর সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক (Socio- Economic) বিবেচনা করে তৃতীয় পক্ষ মোটর বীমায় মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ (Death Compensation) পুনঃনির্ধারণ (উর্ধ্বমূখী) করা হয়।

আশা করি নিম্নে বর্ণিত পরিসংখ্যান থেকে বিষয়টি মোটামুটি বুঝতে সহজতর হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে তৃতীয় পক্ষ বাধ্যতামূলক মোটর বীমা ছাড়া কোন নতুন মোটর গাড়ির নিবন্ধন বা ব্যবহৃত গাড়ির নিবন্ধন নবায়ন করা হয় না।

তৃতীয় পক্ষ বাধ্যতামূলক মোটর বীমা ছাড়া রাস্তায় গাড়ি ব্যবহার অবৈধ এবং আইনের চোখে দণ্ডনীয় অপরাধ।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে উত্তর উত্তর উন্নতির পথে অগ্রসর হচ্ছে এবং বিশ্বের দরবারে সম্মান অর্জন করতে সমর্থ হয়েছে।

অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ এই ব্যাপারে কেবল পশ্চাতেই পড়ে নেই বরঞ্চ বিশ্বের সভ্য দেশগুলির চোখে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে যা একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং অপমানজনক ব্যাপার।

এটা ভাবাই যায় না যে কোন সভ্য দেশ বাধ্যমূলক মোটর বীমা ছাড়া চলতে পারে। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা, যার আশু সমাধান প্রয়োজন।

আশা করি সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অনতিবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।