বেসরকারি খাতে নন-লাইফ বীমা কোম্পানির পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বেসরকারি বীমা খাতে ৪৫টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে হাতেগোণা কয়েকটি কোম্পানি ব্যতীত বাকিদের অবস্থা মোটেই সন্তোষজনক নয়। এদের অধিকাংশই আর্থিক অসচ্ছলতায় ভুগছে।
এই সমস্ত কোম্পানি মূলত দু’টি উপাদানের ওপর ভিত্তি করে টিকে আছে। এর একটি হচ্ছে- পুনর্বীমা কমিশনের ওপর অত্যাধিক নির্ভরশীলতা। আর অন্যটি হচ্ছে সরকারি সম্পত্তির বীমার আয়ের উৎস থেকে অর্জিত মুনাফার একটি বিশেষ অংশ, যা সাধারণ বীমা করপোরেশন প্রতিবছর প্রত্যেক কোম্পানিকে প্রদান করে থাকে।
বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে যে সমস্ত কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে তার একটি অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে অপেক্ষাকৃত স্বল্প পেইড-অ্যাপ ক্যাপিটাল (পরিশোধিত মূলধন) ।
পৃথিবীর অনেক দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময় সময় পেইড-আপ ক্যাপিটাল প্রয়োজন অনুযায়ী বৃদ্ধি করে থাকে।
বাংলাদেশের বীমা খাত এ ব্যাপারে অনেক পিছিয়ে আছে। বর্তমান অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এবং উন্নতি হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
পেইড-আপ ক্যাপিটাল বৃদ্ধির সাথে সাথে বীমা কোম্পানির রিটেনশন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি অবলিখনের গুণগত মানও বৃদ্ধি পাবে এবং বীমা কোম্পানি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অধিক মনোযোগী হবে।
বর্তমানে বীমা কোম্পানি অপেক্ষাকৃত কম নেট রিটেনশনের কারণে এবং পুনবীমা কমিশনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে গা ছাড়া গোছের অবলিখন নীতি গ্রহণ করে থাকে।
আশা করি বীমা খাতের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পেইড-আপ ক্যাপিটাল বৃদ্ধির ব্যাপারটি বিশেষভাবে বিবেচনা করে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।