বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা আইন অনুযায়ী বর্তমানে লাইফ বীমা এবং নন-লাইফ বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ যথাক্রমে ৩০ কোটি টাকা ও ৪০ কোটি টাকা। যা দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে অপর্যাপ্ত বা মোটেই যথেষ্ট নয়।
জানা মতে, অধিকাংশ বীমা কোম্পানি আর্থিকভাবে অসচ্ছলতায় ভুগছে। বীমা আইনে দাবি পরিশোধের সময় সীমা সুনির্দিষ্টভাবে ৯০ দিন বেধে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ বীমা কোম্পানি এই ব্যাপারে বীমা আইন লঙ্ঘন করে চলেছে। যার ফলশ্রুতিতে বীমা গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং ভোগান্তিতে পড়ছে।
বীমার একটি প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রয়োজনের সময় বীমা গ্রাহকদের পাশে দাঁড়ানো এবং দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ করা।
যে সমস্ত বীমা কোম্পানি দাবি পরিশোধের ব্যাপারে বীমা আইন ভঙ্গ করে চলছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির বাজারে উপরে বর্ণিত পরিশোধিত মূলধনের পরিমান কয়েক গুণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বর্তমান সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।