ক্ষুদ্রবীমার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বাংলাদেশ প্রধানত একটি কৃষি ভিত্তিক দেশ। জিডিপির প্রায় ১৫ শতাংশ কৃষি খাত থেকে আসে। দেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী গ্রামে বাস করে। তাদের প্রধান জীবিকা কৃষি কাজ। দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাত এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
কৃষিখাত বলতে আমরা সাধারণত ধান, গম, ভুট্টা, জব, বার্লি, আখ ইত্যাদি চাষকেই বুঝে থাকি। কিন্তু কৃষি খাত কেবল এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। গরু, ছাগল, হাস, মুরগী, মৎস চাষ ইত্যাদিও কৃষি খাতের অন্তর্ভুক্ত।
কৃষিক এবং কৃষি খাতের গুরুত্বের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশে যেভাবে ক্ষুদ্রবীমার প্রচার এবং প্রসার ঘটার কথা ছিল বাস্তবে তা ঘটেনি। এ ব্যাপারে সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকাকে প্রধানত দায়ী করা যেতে পারে।
প্রায় প্রতি বছর প্রকৃতিক দুর্যোগ যেমন- খরা, বন্যা, ঝড়-তুফান ইত্যাদির কারণে ফসল নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর ক্ষুদ্রবীমার অভাবে গরীব চাষীকে তার চরম মূল্য দিতে হয়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ গ্রহণ করতে পারে।
গত কয়েক বছরে শ্রীলঙ্কার সরকার বীমা কোম্পানির বার্ষিক মুনাফার ওপর অতিরিক্ত ২ শতাংশ কর বা লেভি ধার্য করেছে।
এই টাকায় গঠিত ফান্ড থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মালিককে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
কৃষক সম্প্রদায়কে সবচেয়ে দরিদ্র অংশ হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জাতির জন্য খাদ্য শস্য উৎপাদন বা যোগান দেয়, দুঃখজনকভাবে তারাই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন যাপন করে।
এটা জাতির জন্য সত্যি এক লজ্জাস্কর ব্যাপার।
প্রকৃতির খেয়াল-খুশির ওপর কৃষককে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে না দিয়ে সরকারের উচিত উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষুদ্রবীমা চালু করা।