বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো যেতে পারে যেভাবে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন সরকারিভাবে পরিবার পরিকল্পনার গুরুত্বের ওপর রেডিও, টেলিভিশন এবং পত্র-পত্রিকায় নিয়মিতভাবে প্রচার-প্রচারণা চালানো হতো। প্রায় পাঁচ দশক পর তার সুফল এখন পাওয়া যাচ্ছে।
‘ছেলে হোক মেয়ে হোক, দুটি সন্তানই যথেষ্ট’ এই শ্লোগানটি সর্বত্র এমনকি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ছাপার অক্ষরে দেখতে পাওয়া যায়।
রাতারাতি কোন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি সম্ভব নয়। এর জন্য চাই সঠিক ও সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা সহ সর্বোপরি আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
দুঃখজনকভাবে বীমার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাত সম্বন্ধে জনসচেতনতা খুবই সামান্য এবং সীমিত। বীমা খাতের উন্নতির পথে এটি একটি অন্যতম প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যদিও ইদানিং সময়ে বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট হয়েছে কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।
এ ব্যাপারে মিডিয়া, যেমন- প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ইত্যাদি এক বিশেষ এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বীমা মেলা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদির পাশাপাশি গ্রামে-গঞ্জে নিয়মিত পোস্টার, প্লেকার্ড, ব্যানার, যাত্রাপালা, জারিগান, সারিগান ইত্যাদির মাধ্যমে বীমার প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সম্বন্ধে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
এক্ষেত্রে ‘বীমার সেবা নিলে ভাই, ক্ষতির বেলায় চিন্তা নাই’ –এমন শ্লোগান বীমার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
এ ছাড়াও টেলিভিশনে বীমার ওপর স্বল্পদীর্ঘ খন্ড খন্ড প্রামাণ্য চিত্র, নাটক ইত্যাদি নিয়মিত সম্প্রচারের মাধ্যমে এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি সম্ভব হতে পারে।
এসব কাজের জন্য বীমা কর্তৃপক্ষ বীমা কোম্পানি এবং বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সকলকেও উদ্যোগী হতে হবে এবং উৎসাহ উদ্দিপনার সাথে একযোগে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
কেবল সভা-সমিতিতে গাল-গল্পই যথেষ্ট নয়। সময় এসেছে কথার ঝুলি পরিহার করে বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়ার।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এর বিকল্প নেই। এর সাথেই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে বীমা খাতের ভবিষ্যৎ এবং উন্নয়নের প্রশ্ন!