বীমা কোম্পানির মুখ্য র্নিবাহী নিয়োগ প্রবিধানমালার সংশোধন প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: গত ২ জানুয়ারি ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’তে প্রকাশিত “যেসব পরিবর্তন আনা হলো বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী নিয়োগ প্রবিধানমালায়” শীর্ষক প্রতিবেদনটি বীমা বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

এই প্রতিবেদন অনুযায়ী সংশোধিত প্রবিধানমালায় প্রধানত ৩টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর তা হচ্ছে- বীমা অভিজ্ঞতা এবং স্নাতক ডিগ্রির মেয়াদ শিথিল এবং ডিগ্রির ফলাফলে কড়াকড়ি আরোপ করা অর্থাৎ তৃতীয় বিভাগে উর্ত্তীণ প্রার্থীদের মুখ্য নির্বাহী পদে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা।

দুঃখজনকভাবে নতুন প্রবিধানমালায় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি সেটি হচ্ছে পেশাগত শিক্ষা বা বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল।

অথচ বহির্বিশ্বে বীমা কোম্পানিতে ইন্স্যুরেন্স ম্যানেজার বা মুখ্য নির্বাহীর মতো শীর্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয় নুন্যতম এসিআইআই এবং ৫ বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা।

বাংলাদেশের বীমা খাতে বর্তমানে বেশ কিছু ইন্স্যুরেন্স ডিপ্লোমাধারী যেমন- এসিআইআই, এফএলএমআই ইত্যাদি কর্মরত আছেন।

এই সমস্ত ইন্স্যুরেন্স ডিপ্লোমাদারীদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন বিভিন্ন বীমা কোম্পানিতে মুখ্য নির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত আছেন।

নূতন প্রবিধানমালা অনুযায়ী অধিকাংশ বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরা মুখ্য নির্বাহী পদে আবেদন করা থেকে বঞ্চিত হবে।

এ ব্যাপারে যে বিষয়টি প্রধানত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে সেটি হচ্ছে মুখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পূর্ববর্তী পদে অর্থাৎ এডিশনাল এমডি পদে কর্ম অভিজ্ঞতা।

বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত অনেক কর্মচারী রয়েছেন যারা বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদ যেমন- ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইত্যাদি পদে নিয়োজিত আছেন এবং তাদের কাজের অভিজ্ঞতা ১০ বছরের অধিক।

এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের ভুল এবং হটকারী সিদ্ধান্ত বীমা বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট মহলে বিস্ময় এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।

অতীতে এই পত্রিকায় উক্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার লেখালেখি হয়েছে।

আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বীমা খাতের স্বার্থে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে এবং দক্ষ জনবল সৃষ্টির ব্যাপারে পেশাগত শিক্ষাধারীদের অগ্রাধীকার প্রদান করবে।