মুখ্য নির্বাহী নিয়োগ প্রবিধানমালার সংশোধন নিয়ে প্রাসঙ্গিক কিছু প্রশ্ন
বিআইপিএস'র জেনারেল সেক্রেটারি এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: সম্প্রতিকালে উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে এই প্রত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে।
এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রফেশনালস সোসাইটি (বিআইপিএস) এর নাম উল্লেখ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স প্রফেশনালস সোসাইটি (বিআইপিএস) ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১০০’র অধিক।
দি চাটার্ড ইন্স্যুরেন্স ইন্সিটিটিউট (সিআইআই) লন্ডন থেকে বীমা ডিপ্লোমাধারী সকল ‘এফসিআইআই’ এবং হাতে গোনা ২/৩ জন বাদে প্রায় দুই ডজন ‘এসিআইআই’ এর আজীবন সদস্য।
এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের লোমা ইন্সিটিটিউট থেকে ইন্স্যুরেন্স ডিপ্লোমাধারী ‘এফএলএমআই’ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি থেকে ‘এবিআইএ’ ডিপ্লোমা হোল্ডাদের অনেকেই বিআইপিএস'র আজীবন সদস্য।
অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ইন্স্যুরেন্স ইন্সিটিটিউট অব ইন্ডিয়া (আইআইআই) থেকে ইন্স্যুরেন্স ডিপ্লোমাধারী ‘এফআইআইআই’ এবং ‘এআইআইআই’।
এই সকল বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত পেশাজীবীদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন বিভিন্ন বীমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী পদে অধিষ্টিত আছেন।
অধিকাংশ ‘এসিআইআই’ ও অন্যান্য বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিগণ বিভিন্ন উচ্চ পদে যেমন ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্টিত আছেন যাদের কর্ম অভিজ্ঞতা ১০ বছরের অধিক।
নতুন প্রবিধানমালা অনুযায়ী এই সমস্ত ব্যক্তিদের মুখ্য নির্বাহী পদে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
প্রচলিত ধারা বা প্রবণতা অনুযায়ী অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুখ্য নির্বাহী এবং ডেপুটি মুখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ বা মনোনয়ন সাধারণত সেলস বা মার্কেটিং ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে হয়ে থাকে যা বীমা খাতের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এই সমস্ত ব্যক্তিদের সেলস বা মার্কেটিং ডাইরেক্টর পদে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে, মুখ্য নির্বাহী পদে নয়।
এই চর্চা বা সংস্কৃতির পরিবর্তন প্রয়োজন।
কর্তৃপক্ষের এই সহজ বিষয়টি না বোঝার কারণ সংশ্লিষ্ট মহলে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
যে যতই কথাই বলুক না কেন, এ ব্যাপারে বর্তমান পদ্ধতির পরিবর্তন ব্যতীত বীমা খাতের পরিবর্তন তথা সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
বীমা খাতে বর্তমান নৈরাজ্যজনক অবস্থার উত্তোরণের জন্য বীমা শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ প্রাধান্য বা অগ্রাধিকার দিতে হবে।