বীমার জন্ম বা প্রবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্য বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: গত ১৩ জানুয়ারি এই প্রত্রিকায় ‘বীমা গ্রাহকের সুরক্ষা গাইড লাইন করছে আইডিআরএ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বীমার জন্ম বা প্রবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্য ভালোভাবে জানা দরকার।
আজ থেকে প্রায় ৩৫০ বছর পূর্বে ইংল্যান্ডে বীমার জন্ম হয়। বীমা প্রবর্তনের একটি অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে Risk বা ঝুঁকির হাত থেকে বীমা গ্রাহককে সুরক্ষা প্রদান করা সেটা জীবন বীমা বেলায় হোক বা সম্পত্তি বীমার বেলায়ই হোক।
জীবন বীমার বেলায় গ্রাহকের সুরক্ষা বলতে তার মৃত্যূর পর তার পরিবার বা নমিনীকে মৃত্যুদাবি সময়মত পরিশোধ করা বা পলিসির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সময়মত বীমার টাকা পরিশোধ করা।
সম্পত্তি বীমার বেলায় অগ্নিকান্ডের ফলে সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে সময়মত বীমা গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা ইত্যাদি।
বীমা খাতের কথা বলতে গেলে সত্যিকার অর্থে গ্রাহক সেবা বলতে যা বুঝায় তা মারাত্মক রকম বিঘ্নিত বা বিপদগ্রস্থ সেই অর্থে বীমার প্রকৃত উদ্দেশ্য এবং স্পিরিট ভিষণভাবে ব্যহত হচ্ছে।
বীমা আইন ২০১০- এ সুনির্দ্দিষ্টভাবে বলা আছে যে, সকল দাবি ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে নিস্পত্তি করতে হবে। এই আইন কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটা দেখার দায়িত্ব বীমা কর্তৃপক্ষের।
বীমা কর্তৃপক্ষ কি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে?
কিছু কিছু বীমা কোম্পানি বীমা কর্তৃপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আইন ভঙ্গ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতি হিসেবে বীমা গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এর প্রতিকার কি? বীমা কর্তৃপক্ষ এই সকল কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগ কেন?
এর জবাব কেবল মাত্র বীমা কর্তৃপক্ষই দিতে পারে।
বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা করা বীমা কর্তৃপক্ষের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। তারা তাদের দায়িত্বে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। তাদের ব্যর্থতার কারণে গ্রাহক স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে এটি মোটেই কাঙ্খিত নয়।
বীমা গ্রাহকের সুরক্ষায় গাইড লাইন তৈরীর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ায় বীমা কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই। সেই সঙ্গে বীমা কর্তৃপক্ষ এর সঠিক বাস্তবায়ন এবং বীমা আইন লঙ্ঘনকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠিন এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই তাদের কাছে প্রত্যাশা।