বীমা আইনের দুর্বলতা এবং সংশোধন প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: ‘সাড়ে ৬ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেনের জন্য জরিমানা ১ লাখ টাকা’। বাহ, কি চমৎকার আইন!
গত ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে এই পত্রিকায় এ ব্যাপারে একটি খবর প্রকাশিত হয়।
এই যদি হয় আইনের ঢং তবে তা দুর্নীতিকে উৎসাহিত বা প্রশ্রয় দান করবে এটাইতো স্বাভাবিক। এ ব্যাপারে অবাক বা আশ্চর্য হওয়ার কি আছে?
যে বা যারা এই অভিনব আইনটি প্রণয়ন বা প্রবর্তন করেছে তাদের এই আহামরি বুদ্ধি ও বিবেচনার তারিফ না করে পারা যায় না।
জরিমানার মাত্রা বা পরিমাণ এমন হতে হবে যা অপরাধীকে আইন ভঙ্গ করতে নিরুৎসাহিত করবে বা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।
কথায় বলে, গুরুদণ্ডের জন্য লঘু শাস্তি। উপরে বর্ণিত ঘটনাটি যেন তারই প্রতিচ্ছবি বহন করে।
প্রাশ্চাত্যের দেশগুলোতে বিশেষ করে কানাডায় যেভাবে জরিমানা করে থাকে তার কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেয়া গেল।
>নো-স্মোকিং এরিয়াতে ধুমপান করার জন্য আইন করে জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছে ৫০০ কানাডিয়ান ডলার। > স্ট্রিট কারে বিনা টিকেটে ভ্রমণ করার জরিমানা ৪২৫ কানাডিয়ান ডলার। অথচ স্ট্রিট কারের টিকেটের মূল্য মাত্র ৩ কানাডিয়ান ডলার।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে সাধারণ খেটে খাওয়া মজদুরের বেতন গড়ে মাসিক ২,০০০ থেকে ২,৫০০ কানাডিয়ান ডলার।
যে আইন আপরাধ বা দুর্নীতি প্রতিরোধের পরিবর্তে উৎসাহিত করে সে আইন আর যাই হোক না কেন গ্রহণযোগ্যতা বা বৈধ্যতা হারাতে বাধ্য।
তাই অবিলম্বে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের এই ধরনের হাস্যকর এবং অসুস্থ্য আইনের সংশোধন বা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, আলোচিত দৃষ্টান্ত দুটি যদিও বীমার সাথে জড়িত নয়, তথাপি কানাডিয়ান সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা নেয়ার জন্য এই উপমা দু’টি ব্যবহার করা হয়েছে।