সলভেন্সি মার্জিন কেন গুরুত্বপূর্ণ
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কৃর্তপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান বীমা কোম্পানির সলভেন্সি মার্জিন নিয়ে কিছু ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ করেছেন, যা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
বীম কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের ভাষ্য অনুযায়ী বেশ কিছু বীমা কোম্পানি বিশেষ করে জীবন বীমা খাতে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সময়মত বীমা গ্রাহকের দাবি নিষ্পত্তি করতে অসমর্থ বা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।
সংবাদটি বীমা গ্রাহক এবং বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিচলিত করেছে এবং সেই সাথে উৎকন্ঠার জন্ম দিয়েছে। এটি বীমা খাত তথা বীমা গ্রাহকের জন্য মোটেই ভালো খবর নয়।
সময়মত দাবি নিষ্পত্তি করা বীমা কোম্পানির একটি অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে যে সকল বীমা কোম্পানির দাবি নিষ্পত্তি করার সামর্থ নাই সেই সমস্ত কোম্পানির ব্যবসা করার কি কোন বৈধ অধিকার রয়েছে?
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এই সমস্ত বীমা কোম্পানিকে অনতিবিলম্বে দেউলিয়া ঘোষণা করা।
সলভেন্সি মার্জিন নিয়ে অতীতে এই পত্রিকায় একাধিকবার লেখালেখি হয়েছে।কিন্তু দুঃখজনকভাবে বীমা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করে নাই এবং ইনসলভেন্ট বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
বীমা কর্তৃপক্ষের এই ধরনের নির্বিকার বা নিস্ক্রিয় মনোভাব তাদের দায়িত্বে চরম অবহেলার সামিল এবং বীমা গ্রাহকের স্বার্থের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বীমা কোম্পানির আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বীমা গ্রাহককে কেন দুর্ভোগ বা ভোগান্তির শিকার হতে হবে?
সময় মতো বীমা কর্তৃপক্ষ সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই ধরনের দুর্যোগপূর্ণ বা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
বীমা আইনে সুনির্দিষ্টভাবে ৯০ দিনের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধ করার নির্দেশনা রয়েছে। এই আইন ভঙ্গকারী বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে বীমা কর্তৃপক্ষ কি ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে?
আশা করি জনস্বার্থে বীমা কর্তৃপক্ষ ইনসলভেন্ট বীমা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করবে এবং সেই সাথে এই ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিস্কার করবে।