বীমা খাতের সংস্কার কোন পথে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছে। অথচ বীমা খাতের মতো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাত সংস্কারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে।

সাম্প্রতিককালে দেশে একটি ব্যাপক রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বীমা খাতে কী এর কোন প্রভাব পড়েছে? মনে হয় না।

সব কিছু পূর্বের মতোই চলছে। মনে হয়, আমরা যেন অতীতেই বাস করছি।

দিনের পর দিন বীমা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির পাহাড় গড়ে উঠেছে। যবাবদিহীতা, ভয়-ভীতির তোয়াক্কা না করেই বীমা কোম্পানি নিত্যনৈমিত্য বীমা আইন লঙ্ঘন করে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের শাসন করার কেউ নেই।

কতিপয় অসাদু ও দুর্নীতিপরায়ণ বীমা কোম্পানি বীমা গ্রাহকের স্বার্থ উপেক্ষা করে তাদের দুষ্ট অভিপ্রায় চরিতার্থ করার জন্য তাদের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

বছরের পর বছর তারা বীমা দাবি নিষ্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) বীমা খাতে বিরাজমান সমুস্ত সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া সত্ত্বেও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে ক্রমাগত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।

আইডিআরএ তাদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে বসেছে।

বিবেক ও ন্যায়-নীতি বিবর্জিত কিছু বীমা কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের দুর্বলতা এবং নিস্ক্রীয়তার সুযোগ নিয়ে অবৈধ পথে টাকা বানানোর প্রতিযোগিতায় অবতীর্ন হয়েছে।

এই সকল দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে নিয়মিতভাবে জনসম্মুখে তুলে ধরা, বিচারের সম্মুখীন এবং শাস্তিবিধানের মাধ্যমে এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে।

এভাবে বীমা খাত চলতে পারে না। অবশ্যই এর একটি বিহিত হওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।