বীমা খাত কি আদৌ সংস্কারের মুখ দেখবে?

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছেন। কিন্তু বীমার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাত এই সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত কিনা তা জানা যায়নি।

বর্তমান বীমা খাত একটি অত্যন্ত নৈরাজ্যজনক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সীমাহীন দুর্নীতি এবং অনিয়মে হাবুডুবু খাচ্ছে বীমা খাত। এর ফলে বীমার আসল বা মূল্য উদ্দেশ্য অর্থাৎ বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রাক্ষা চূড়ান্তভাবে ব্যহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

লাইফ বীমা কোম্পানি বছরের পর বছর বীমা গ্রাহকের বীমা দাবি পরিশোধে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে। অথচ এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা মহলের কোন চিন্তা বা মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না।

কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং অক্ষমতার কারণে বীমা গ্রাহক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বীমা গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে এবং প্রয়োজনে দোষী বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে বীমা আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বছরের পর বছর বীমা আইন ভঙ্গ করে পার পেয়ে যাচ্ছে বীমা কোম্পানি। বীমা খাতের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত এভাবে চলতে পারে না। অবশ্যই এর ইতি টানা প্রয়োজন।

বীমা বিশেষজ্ঞদের মতে বিভিন্ন সংস্কারের মধ্যে নিম্নলিখিত সংস্কারগুলো গুরুত্বপূর্ণ-

১) বর্তমান পেইড-আপ ক্যাপিটাল ২-৩ গুণ বৃদ্ধি;

২) লাইফ বীমা কোম্পানির বেলায় বাধ্যতামূলকভাবে লাইফ ফান্ডের সৃষ্টি বা প্রবর্তন;

৩) নিয়ম অনুযায়ী সলভেন্সি মার্জিন মেইনটেইন করা এবং

৪) বর্তমান মুখ্য নির্বাহী নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তন।

এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণসহ বীমা খাতের বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।