সরকারের সংস্কারের তালিকায় বীমা খাতের ঠাঁই না পাওয়া প্রসঙ্গে
এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংক খাতসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ আশ্চর্যজনকভাবে বীমার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক খাত সংস্কারের তালিকায় ঠাঁই না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে বিষ্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
বীমা খাতের মধ্যে বিশেষ করে জীবন বীমার বেলায় প্রধানত দুটি দিক রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে বাধ্যতামূলকভাবে সঞ্চয় এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে দুর্ঘটনা ইত্যাদিতে আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
বীমা গ্রাহক প্রদত্ত প্রিমিয়াম বীমা কোম্পানির নিকট আমানত হিসেবে গচ্ছিত থাকে। বীমা কোম্পানি এ ক্ষেত্রে কাস্টোডিয়ানের ভূমিকা পালন করে থাকে।
একইভাবে গ্রাহকের জমানো টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে যার প্রকৃত মালিক ব্যাংক নয় স্বয়ং গ্রাহক।
বীমা খাতে বর্তমানে এক ভয়াবহ অবস্থা বিরাজমান, যেখানে বীমা গ্রাহক দীর্ঘ সময় ধরে বিশেষ করে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমা দাবি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অথচ এই ব্যাপারে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় বীমা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ চরম ব্যার্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে।
অধিকাংশ বীমা গ্রাহক মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। বীমা করা সত্বেও তারা তাদের প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে না। ফলে বীমা তথা বীমা কোম্পানির প্রতি তাদের আস্থা দিন দিন ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে।
এমতাবস্থায় সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া বীমা খাতের বর্তমান অবস্থার উত্তোরণ এবং উন্নয়ন সম্ভব নয়।