বীমা খাতের সংকট নিরসনে যেসব পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সরকারের

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা খাতের বর্তমান সংকটের কারণ বিশ্লেষণ এবং সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন।

বিগত সরকার তাদের মন্ত্রী, এমপি এবং ঘনিষ্ঠ লোকজনদের সন্তুষ্ট করার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বীমা কোম্পানির লাইসেন্স প্রদান করেছে, যা লাইফ বীমা এবং নন-লাইফ বীমা উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

বিশেষ করে লাইফ বীমা কোম্পানি আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বীমা আইন ২০১০ লংঘন করে দীর্ঘ সময় ধরে মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির দাবি পরিশোধে ব্যার্থ এবং সেই সাথে বীমা গ্রাহকের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করে চলেছে। 

এই সমস্ত লাইফ বীমা কোম্পানির মধ্যে কিছু কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা দেউলিয়াত্বের দ্বারপ্রান্তে উপনিত হয়েছে।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব জনস্বার্থে এই সকল মুমূর্ষ কোম্পানির তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

যে সকল বীমা কোম্পানি সময়মত মেয়াদ উত্তীর্ণ পলিসির দাবি পরিশোধে ব্যর্থ, নিদিষ্ট সময় বেধে দেয়ার মাধ্যমে তাদের দাবি পরিশোধে বাধ্য করা। অন্যথায় তাদের লাইসেন্স সাসপেন্ড বা বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মুমূর্ষ কোম্পানির বেলায় তাদের প্রয়োজনীয় সলভেন্সি মার্জিন বৃদ্ধির জন্য নিদিষ্ট সময়সীমা বেধে দেয়া, অন্যথায় তাদের লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

বর্তমান বীমা আইন অনুযায়ী উপরোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে অসুবিধা বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে প্রয়োজনে বীমা আইন পরিবর্তন বা সংশোধন করতে হবে।

আশাকরি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপরে বর্ণিত সুপারিশসমহূ বিশেষ বিবেচনার সঙ্গে দেখবে এবং বর্তমান নৈরাজ্যজনক অবস্থার অবসানে এগিয়ে আসবে।