লাইফ বীমায় সংস্কার হ‌বে কতটুকু!

শিপন ভূঁইয়া: গত ৫ আগস্টের পর দে‌শের মানুষ নতুন ক‌রে দেশ‌কে নি‌য়ে ভাব‌তে ও স্বপ্ন দেখ‌তে শুরু ক‌রে‌ছে। প্রায় সব সেক্ট‌রে সংস্কা‌রের জন‌্য ক‌মিশন গঠন করা হ‌য়ে‌ছে। বীমা সেক্ট‌রের সংস্কার কতটুকু হ‌বে তা নি‌য়ে এখনই সংশয় শুরু হ‌য়ে‌ছে।

দু‌র্নী‌তিগ্রস্থ ছয়‌টি ব‌্যাং‌কের তারল‌্য সংকট নিরস‌নে এবং গ্রাহ‌কের টাকা ফেরত দেয়ার জন‌্য বাংলা‌দেশ ব‌্যাংক ২২ হাজার ৫০০ কো‌টি টাকা নতুন ক‌রে ছা‌পি‌য়ে‌ছে। ক্ষ‌তিগ্রস্থ ব‌্যাংকগু‌লো‌কে সহায়তা দেয়া হয়ে‌ছে যা‌তে মানু‌ষের ব‌্যাং‌কের প্রতি অনাস্থা তৈ‌রি না হয়।

ব‌্যাং‌কের আস্থা বৃ‌দ্ধির জন‌্য বাংলা‌দেশ ব‌্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছে। ত‌বে বীমার প্রতি আস্থা বৃ‌দ্ধির জন‌্য সরকার কী ধর‌নের ব‌্যবস্থা নি‌তে যা‌চ্ছে তা জা‌তির কাছে প‌রিস্কার নয়।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, ৩৬ লাইফ বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১টির প্রায় ১১ লাখ বীমা গ্রাহকের ৩ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করতে হবে।

ভুক্ত‌ভোগী গ্রাহকরা কবে তাদের টাকা ফেরত পাবেন তা প্রায় অনিশ্চিত। এই টাকা গ্রাহ‌ককে ফেরত দেয়ার জন‌্য আইডিআরএ কি পদ‌ক্ষেপ নি‌চ্ছে তা ভুক্ত‌ভো‌গীরা জানার জন‌্য উধগ‌্রীব হ‌য়ে আছে।

চলতি বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ বছরে জমে থাকা অনিষ্পন্ন বীমা দাবি এই সময়ের মোট দাবির ৬৬ দশমিক ২১ শতাংশ।

আইডিআরএ’র তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লাইফ বীমাকারীদের দাবি নিষ্পত্তির হার কমেছে। ২০২০ সালে যা ছিল ৮৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা ৭২ শতাংশে নেমে এসেছে।

নিষ্পত্তিযোগ্য দাবি থাকা ৩১ বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯টির-ই নিষ্পত্তির হার সবচেয়ে কম।

ব্যাংকের অভিভাবক বাংলা‌দেশ ব‌্যাংক স‌ঠিকভা‌বে অভিভাব‌কের দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছে।

ত‌বে কি বীমা উন্নন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এখ‌নো কি বীমার অভিভাবক হ‌য়ে উঠে‌নি? না‌কি আবা‌রো দলীয় পদায়ন ক‌রে আইডিআর কে দলীয় সংগঠন বানা‌নো হ‌বে যা প‌রিচা‌লিত হ‌বে রাজ‌নৈ‌তিক নি‌র্দেশনায় !

প‌রিশে‌ষে, অন্তর্বর্তীকা‌লীন সরকা‌রের কা‌ছে ভুক্ত‌ভোগী মানুষ ও বীমা সেক্ট‌রের সা‌থে জ‌ড়িত বীমা পেশাজী‌বিীদের প্রত‌্যাশা হ‌লো বীমা সেক্ট‌রের জন‌্য আলাদা সংস্কার ক‌মিশন গঠন করা। দ্রুত সময় সমস্ত দাবি প‌রি‌শোধ ক‌রে পু‌রো বীমা সেক্টরকে পুনর্গঠন কর‌তে হ‌বে।