বীমা খাতের উন্নয়নে আইডিআরএ’র করনীয় কাজ প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সৃষ্টি হয়েছে প্রধানত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রথমটি হচ্ছে বীমা খাত নিয়ন্ত্রণ এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে বীমা খাতের উন্নয়ন।

বীমা খাতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কতটুকু নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ।

এখন দ্বিতীয় প্রসঙ্গে আসা যাক। বীমা খাতের উন্নয়নে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

বীমা খাতের উন্নয়নে বীমা খাতের অবদান যৎ সামান্য বলা যায়। বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন কেবল মাত্র উন্নয়নের কথা মুখে উচ্চারন করাই যথেষ্ট নয়। কাজেও এর প্রতিফলন ঘটতে হবে।

বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল রাষ্ট্রে বীমার পেনিট্রেশন .৫% এর ও কম যা সার্ক অন্তভূক্ত দেশগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন।

বীমা খাতের উন্নয়নে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের করনীয় কাজের মধ্যে রয়েছে: একটি পৃথক সেল গঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ যেমন:

১। জনসচেতনা বৃদ্ধিতে নিয়মিত প্রচার প্রচারনার ব্যবস্থা করা।

২। নিয়মিত সেমিনার/ Symposium/ কর্মশালার ব্যবস্থা করা।

৩। ইলেট্রনিক প্লাটফর্ম যেমন ইউটিউব চ্যানেল সৃষ্টির মাধ্যমে বীমা শিক্ষার প্রসারনে উদ্দোগ গ্রহন করা।

৪। দেশের মেধাবী তরুণ সম্প্রদায় যেমন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বীমা সমন্ধে আগ্রহ তৈরির লক্ষে নিয়মিত বীমা বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতা বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদির আয়োজন করা।

৫। বীমা খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বীমা বিশেষজ্ঞদের ইন্টারভিও গ্রহনের ব্যবস্থা করা এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে তা সম্প্রচার করা।

৬। নিয়মিত ইন্স্যুরেন্স ম্যাগাজিন পাবলিশ করা।

৭। কোনরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়া প্রতি বছর বীমা মেলার আয়োজন করা।

৮। দক্ষ জনবল গড়ে তোলার ব্যাপারে বীমা প্রশিক্ষণের সুষ্ঠ ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।

সত্যি কথা বলতে কি বীমা খাতের উন্নয়নে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অবদান হতাশা ব্যঞ্জক।

আশাকরি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সমন্ধে সচেতন হবে এবং বীমা খাতের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।