বিশ্ব বাজারে এবার শস্য পুনর্বীমা করবে ভারতের এআইসি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: এবার বিশ্ব বাজারে শস্য পুনর্বীমা করার কথা ভাবছে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা প্রতিষ্ঠান এগ্রিকালচার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (এআইসি) অব ইন্ডিয়া লিমিটেড। এরইমধ্যে বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএ’র অনুমোদন পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালের জানুয়ারি নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে পুনর্বীমা করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রমও শুরু করেছে এআইসি।

ভারতের প্রায় ৫শ’ জেলার দুই কোটির বেশি কৃষককে শস্য বীমা সেবা দিয়ে আসছে এআইসি। ২০০২ সালের ২০ ডিসেম্বর ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল ইন্স্যুরেন্স স্কিম (এনএআইএস) প্রকল্পের আওতায় প্রতিষ্ঠালাভ করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ বীমা কোম্পানি। ২৮৩’র বেশি কর্মকর্তা এতে কর্মরত আছেন। নয়া দিল্লি ভিত্তিক বীমা কোম্পানিটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শ্রী রাজিব চৌধুরী।

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধানে সলভেন্সি রেশিও ১.৫ প্রয়োজন হলেও আমাদের রয়েছে ২.৯৯ । তাছাড়া আমাদের মূলধনের পরিমাণ ৩ হাজার ৫শ’ কোটি রুপি ছাড়িয়েছে। শস্য বীমায় আমরা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছি। এখন উন্নয়নশীল অন্য দেশগুলোকে সহযোগিতা করতে চাই। পুনর্বীমা সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আমাদের আছে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলোতে প্রাথমিকভাবে পুনর্বীমা ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছে এআইসি। শস্য বীমা ছাড়াও মধ্যম মেয়াদে প্রাণী বীমা, মৎস বীমা ও পল্ট্রি বীমাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরিকল্প চালু করে এআইসি’কে কৃষকের জন্য অন স্টপ সলিউশন করতে চান বলেও জানান কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর রাজিব চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা চালুর পর বেসরকারি অনেক বীমা কোম্পানি এ ব্যবসায় যুক্ত হওয়ায় ভারতের শস্য বীমা বাজার প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠে। এর মধ্যেও শস্য বীমার ৫০ শতাংশ বাজার ধরে রেখেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এআইসি। কোম্পানিটি এ বছর ১৩ হাজার কোটি রুপি প্রিমিয়াম সংগ্রহ করার প্রত্যাশা করছে। গেলো বছর এর পরিমাণ ছিল ৭ হাজার কোটি রুপি।