এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বীমা দাবি বাজারে প্রযুক্তিনির্ভর উত্থান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বীমা দাবি সেবা বাজার দ্রুত পরিবর্তনের পথে এগোচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তার, স্মার্টফোন ব্যবহারের অভাবনীয় বৃদ্ধি এবং মোবাইল-ভিত্তিক দাবি সেবা ব্যবস্থার জনপ্রিয়তা এই বাজারকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই অঞ্চলে বীমা দাবির প্রবৃদ্ধি হবে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত, যা আসন্ন দশকে শিল্পখাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

বিশ্বব্যাপী বীমা খাত এখন প্রযুক্তিগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ে কাগজপত্র, অফিস ভিজিট ও দীর্ঘ অপেক্ষা যেখানে দাবিপ্রক্রিয়ার অনিবার্য অংশ ছিল, এখন তা অনেকাংশেই বদলে গেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা অ্যানালিটিক্সের ব্যবহারে বীমা কোম্পানিগুলো দ্রুততর, নির্ভুল ও গ্রাহকবান্ধব সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে। দাবি যাচাই, অনুমোদন ও পেমেন্ট প্রক্রিয়ায় অটোমেশন প্রযুক্তি শুধু সময় কমাচ্ছে না, বরং জালিয়াতি শনাক্তেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাজারে পরিবর্তনের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে স্মার্টফোনভিত্তিক সেবা সম্প্রসারণ। আজকের গ্রাহক মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে দাবি জমা দিতে, প্রমাণপত্র আপলোড করতে এবং অগ্রগতি সরাসরি অনুসরণ করতে পারছেন। এই সহজলভ্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া তরুণ প্রজন্মের কাছে বীমাকে আরও বিশ্বাসযোগ্য ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এর ফলে, গ্রাহক সন্তুষ্টি ও আস্থা উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জীবন বীমা খাতেও ঘটছে মৌলিক পরিবর্তন। বীমা কোম্পানিগুলো এখন একক পলিসির বদলে গ্রাহকের জীবনধারা, স্বাস্থ্য পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিগত চাহিদার সঙ্গে মিলিয়ে ব্যক্তিকেন্দ্রিক বীমা পরিকল্পনা দিচ্ছে। এই পরিবর্তন শুধু সেবাকে আধুনিক করছে না, বরং গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক নতুন আস্থার সম্পর্ক তৈরি করছে।

বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় উত্তর আমেরিকা এখনো প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রগামী, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ভবিষ্যতের মূল প্রবৃদ্ধি হবে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে। কারণ, এই অঞ্চলে ডিজিটাল গ্রহণযোগ্যতা, তরুণ কর্মশক্তি এবং নগরায়ণের গতি বিশ্বমানের রূপান্তর ঘটাচ্ছে। প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিকতার সমন্বয়ে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল এখন বৈশ্বিক বীমা দাবি বাজারের নতুন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। (সংবাদ সূত্র: ইন্স্যুরেন্স এশিয়া)