প্রবাসী বীমা বেসরকারি কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত হবে চালুর ১ বছর পর

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসী বীমা প্রথম বছর পরিচালনা করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন (জেবিসি) । এর পরের বছর থেকেই তা উন্মুক্ত করে দেয়া হতে পারে বেসরকারি বীমা কোম্পানির জন্য। এক্ষেত্রে প্রবাসী বীমার জন্য গঠন করা হবে পৃথক তহবিল। বীমাটি চালু এবং চলমান রাখার জন্য গঠন করা হবে পৃথক কমিটি।

সকল বীমা কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করা হলেও যোগ্য কোম্পানিগুলোই প্রবাসীদের বীমা করার সুযোগ পাবে। এমনটাই বলা হয়েছে প্রবাসী বীমার নীতিমালায়।

তবে প্রবাসীদের বীমা চালুর করার জন্য কী ধরণের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে বেসরকারি বীমা কোম্পানিকে তার কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা নির্দেশনা দেয়া হয়নি ওই নীতিমালায়। এছাড়াও কোন পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত করা হবে প্রবাসী বীমা তাও সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রবাসীদের জন্য বাধ্যতামূলক বীমা ব্যবস্থা চালুর প্রথম ১ বছর জীবন বীমা করপোরেশন বীমা সেবা প্রদানের দায়িত্ব পালন করবে। বীমা পরিকল্পটি চালু হওয়ার পর জীবন বীমা করপোরেশন কর্তৃক ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এ ব্যবস্থার সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে।

এ ছাড়াও ৯ মাস পর বীমা গ্রহীতার সংখ্যা, বীমা অংক, বীমা দাবির সংখ্যা, বীমা দাবি নিষ্পত্তির সংখ্যাসহ পুরো ব্যবস্থার কার্যকারিতা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক পর্যালোচনা করা হবে এবং বীমা পরিকল্পটি সকল যোগ্য বীমা প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ধার্যকৃত বীমা প্রিমিয়ামের অংকও পুনর্বিবেচনা করা হবে।

নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, এই পরিকল্পের জন্য বীমাকারী একটি আলাদা তহবিল তৈরি করবে এবং প্রতিবছর একচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে লাভ-লোকসান নির্ধারণ করা হবে। প্রণীত নীতিমালার আলোকে প্রবাসী কর্মীদের জন্য বীমা সেবা চালু এবং পরবর্তীতে যথাযথ উপায়ে চলমান রাখার জন্য ইমপ্লিমেন্টেশন, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন নামে একটি কমিটি গঠন করতে হবে।

বীমা গ্রাহকদের দাবি পেশ এবং বীমা দাবি নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বীমাকারীর সাথে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী বীমা দাবি নিষ্পত্তি করা হবে। পরিকল্পটি বাজারজাত করার ১ বছর পর প্রিমিয়াম হার, সুবিধাদী ও আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ পর্যালোচনা করা হবে এবং তদপ্রেক্ষিতে পরিকল্পটি প্রয়োজন বোধে পরিবর্তন/ পরিবর্ধন/ সংশোধন করা হবে।

এ ছাড়াও প্রাথমিক অবস্থায় বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বীমা পরিকল্পটি প্রযোজ্য হবে। পরবর্তীতে বিদেশে কর্মরত সকল বাংলাদেশিকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। দাবি নিষ্পত্তিসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের ওপর বীমাকারী একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাটাবেজ তৈরি করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রবাসী বীমার নীতিমালায়।