দরপতনের শীর্ষ তালিকায় বীমার ৪ কোম্পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেষ সপ্তাহে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে বীমা খাতের প্রতিষ্ঠাইন ছিল ৪টি। কোম্পানিগুলো হলো সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসেফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স এবং এশিয়া ইন্স্যুরেন্স। সপ্তাহজুড়েই এই চার কোম্পানির শেয়ার দাম কমেছে।
এর মধ্যে সব থেকে বেশি দাম কমেছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। ডিএসই দাম কমার শীর্ষ তালিকায় এ কোম্পানি তৃতীয় স্থান দখল করেছে। ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই বীমা কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪৩ দশমিক ১৭ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৩৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার।
বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে শেয়ার দাম কমার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। ডিএসইতে শেয়ার দর হরানোর শীর্ষ তালিকায় কোম্পানিটির স্থান ষষ্ঠ। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার দাম কমেছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০০৬ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হওয়া এই বীমা কোম্পানির মোট শেয়ারের ৪২ দশমিক ৭২ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩০ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার।
আর তৃতীয় স্থানে থাকা গ্রীণ ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দাম কমেছে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ডিএসই দাম কমার দিক থেকে এ কোম্পানিটির স্থান অষ্টম। ১৯৮৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই বীমা কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৯ দশমিক ৪২ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার। আর বিদেশিদের কাছে আছে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার।
ডিএসইতে শেয়ার দম কমার দিক থেকে দশম স্থানে রয়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২০০৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই বীমা কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪১ দশমিক ৫৬ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৬ দশমিক ১৯ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩২ দশমিক ২৫ শতাংশ শেয়ার।