ন্যাশনাল লাইফের ৪১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্ত: ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গৌরবময় সাফল্যের ৪১ বছরে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি কোম্পানির কাওরান বাজারস্থ প্রধান কার্যালয় এনএলআই টাওয়ারে কেক কাটা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক তাহের, সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক কাজী মাহমুদা জামান, পরিচালক এয়ার কমোডোর মো. আবু বকর এফসিএ, এনএলআই সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রেদওয়ান হোসেন, এনএলআই সিকিউরিটিজের পরিচালক মাহমুদ হাবীব জামান।

এছাড়াও ন্যাশনাল লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাজিম উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খসরু চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন্ড সিএফও প্রবীর চন্দ্র দাস এফসিএ, কোম্পানি সচিব মো. আব্দুল ওহাব মিয়ানসহ কোম্পানির নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বক্তাবৃন্দ বলেন, ১৯৮৫ সালের ২৩ এপ্রিল দেশের প্রথম বেসরকারী জীবন বীমা কোম্পানি হিসেবে ন্যাশনাল লাইফ যাত্রা শুরু করে। ন্যাশনাল লাইফের পথ ধরে আজ দেশে বহু বেসরকারী জীবন বীমা কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।

তারা আরো বলেন বীমা দেশের অর্থনীতিতে অন্যতম চালিকা শক্তি। বীমার প্রিমিয়ামের টাকা ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ন্যাশনাল লাইফ বিপুল জনগোষ্ঠীকে সঞ্চয়মুখী করার পাশাপাশি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পরে সবাই প্রতিষ্ঠা দিবসের কেক কাটেন। এর আগে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা দিবসের উদ্বোধন করা হয়।

উল্লেখ্য ন্যাশনাল লাইফ ১৯৮৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিগত ৪০ বছরে প্রায় ৭০ লাখ লোককে বীমার আওতায় এনেছে, প্রিমিয়াম আয় করেছে ১৮ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা এবং দাবি পরিশোধ করেছে ১১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।

এছাড়াও বর্তমানে কোম্পানির লাইফ ফান্ড ৫ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা, সম্পদ ৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা এবং বিনিয়োগ প্রায় ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিতে বেতন ভিত্তিক প্রায় ৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২ লাখ লোক কাজ করছে।

সর্বোচ্চ বীমা দাবি পরিশোধের জন্য কোম্পানিটি ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পর পর দুই জাতীয় সম্মাননা, শীর্ষ করদাতার সম্মাননা ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশী ও বিদেশী অসংখ্য অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।