মৃত্যুদাবি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ৯ কারণ
সঞ্চয়ের পাশাপাশি বিপদের সময় আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বীমা গ্রহণ করেন সাধারণ মানুষ। বছরের পর বছর ঘাম ঝরা টাকায় প্রিমিয়াম পরিশোধ করেন। মেয়াদ শেষ হলেই লাভসহ বীমার টাকা পাবেন গ্রাহক, অপেক্ষায় থাকেন সেই শুভ সময়ের। নির্ধারিত কাগজপত্রসহ আবেদনের পর সেই কাঙ্খিত অর্থ গ্রাহকের কাছে হস্তান্তর করে বীমা কোম্পানি।
তবে এর ব্যতিক্রমও হয়। গ্রাহকের মৃত্যুতে বীমা দাবি উত্থাপন করলেও অনেক সময় কোম্পানি তা নাকোচ করে দেয়। এক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে বীমা কোম্পানি। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এমনই ৯টি সমস্যার কথা প্রকাশ করেছে। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেগুলো তুলে ধরা হলো।
১। বীমা পলিসি গ্রহণ করার সময় বীমা গ্রাহকের স্বাস্থ্যগত সঠিক তথ্য প্রদান না করা বা গোপন রাখা।
২। ঝুঁকি গ্রহণকালে প্রস্তাবপত্রে উল্লেখিত বয়স প্রকৃত বয়সের চেয়ে কম বা বেশি দেখালে।
৩। আর্থিক সামর্থ না থাকা সত্ত্বেও উদ্দেশ্যমূলকভাবে বড় বীমা অংকের পলিসি গ্রহণ করলে।
৪। প্রকৃত পেশা ও বিদেশে অবস্থানের তথ্য গোপন করে পলিসি গ্রহণ করলে।
৫। তামাদি পলিসি পুনর্বহালের সময় বীমাগ্রহীতা শারীরিক অসুস্থতার তথ্য গোপন করে পলিসি পুনর্বহাল করলে।
৬। মৃত্যুদাবি পাওয়ার লক্ষ্যে বীমাগ্রহীতার মৃত্যুর পর পিছনের তারিখ (Back date) বসিয়ে প্রিমিয়াম গ্রহণ রশিদ (PR) ইস্যু করে প্রিমিয়াম প্রদান করলে।
৭। মিথ্যা মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল করলে।
৮। মহিলাদের ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় তথ্য গোপন করে বীমা গ্রহণ করলে অথবা বীমা পুনর্বহাল করলে।
৯। পলিসি তামাদি অবস্থায় পরিশোধিত মূল্য (Paid up value) অর্জনের পূর্বে বীমাগ্রহীতার মৃত্য হলে।