বিদেশি বীমা কোম্পানির জন্য আরো উন্মুক্ত হচ্ছে চীনের বাজার
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বিদেশি কোম্পানির জন্য আরো উন্মুক্ত হচ্ছে চীনের বীমা বাজার। এজন্য নিয়ন্ত্রণ বিধিতে সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চায়না ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি কমিশন (সিআইআরসি) । বিদেশী বীমাকারীদের আকৃষ্ট করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান চেন ওয়াংহুই।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও)'র সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর বিদেশি বীমা কোম্পানিকে চীনের মূল ভূখণ্ডে বীমা ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমোদন দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বিদেশি কোম্পানির জন্য দেশের বীমা বাজার আরো উন্মুক্ত করা হচ্ছে।
গ্রাহক আগ্রহ এবং ঝুঁকি সুরক্ষা দৃষ্টিকোণ থেকে এটি চীনের বীমা শিল্পের জন্য উপকারী হবে বলে মন্তব্য করেন চেন ওয়াংহুই। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) পেইচিংয়ে দশটি বিদেশী বীমা কোম্পানীর সাথে একটি বৈঠকে এসব কথা বলেন চেন ওয়াংহুই। এরপর ভাষণটি সিআইআরসি'র ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়।
চায়না ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি কমিশনের ওয়েবসাইটের ওই পোস্টে বলা হয়েছে, স্থানীয় স্বাস্থ্য, দুর্যোগ এবং পেনশন বীমা বাজারে প্রবেশে বিদেশি বীমা কোম্পানিকে উৎসাহ যোগাবে চীন সরকার। বিদেশিদের জন্য চীনের বীমা বাজারে প্রবেশের নীতি আরো উন্নত হবে বলেও পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডব্লিউটিও'তে যুক্ত হওয়ার পর থেকে চীনে বিদেশি বীমা কোম্পানির সংখ্যা নিয়মিতভাবে বাড়ছে। ২০০১ সালে বিদেশি বীমা কোম্পানির যৌথ বাজারের অংশ ছিল ১ শতাংশের কম। ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ এর পরিমাণ ৫.১৯ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান চেন ওয়াংহুই।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে বিদেশি বীমার কোম্পানিগুলোর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩ বিলিয়ন আরএমবি তথা ৪৫৯.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জুলাই, ২০১৭ সাল পর্যন্ত এই সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ ট্রিলিয়ন আরএমবি'রও বেশি। বর্তমানে ১৬টি দেশের ৫৭টি বীমা কোম্পানি চীনে ব্যবসা পরিচালনা করছে। (সূত্র: এএএম, আইএএন)