বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে বীমা আইন সংশোধন করছে ভারত

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ১৯৩৮ সালের বীমা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এরইমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দেশটির বীমা খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইআরডিএআই) ।

দেশটির সরকার যখন সংসদে বীমা আইন সংশোধনী বিল পেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখন এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যেখানে বীমা খাতে ১০০% বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) অনুমোদনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান দিনেশ খারা’র সভাপতিত্বে এই কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআই। নতুন এই কমিটি আইনে বীমা খাত নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধানগুলো মূল্যায়ন করবে এবং পরিবর্তনের সুপারিশ করবে।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক খবরে জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে এরইমধ্যে প্রাথমিক একটি সভা করেছে নতুন এই কমিটি।

এফডিআই বা বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদিত হলে বীমা খাতকে আরও বেশি বিদেশী অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত করতে পারে; যা বীমা বাজারের গতিশীলতা, বিনিয়োগ প্রবাহ এবং পেনিট্রেশন জোরদার করতে পারে।

কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন-

আইসিআইসিআই প্রুডেন্সিয়াল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও এনএস কান্নান; ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিরিশ রাধাকৃষ্ণ; আইআরডিএআই’র সাবেক সদস্য রাকেশ জোশী; ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৌরভ সিনহা; এমএফআইএন’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও অলোক মিশ্র এবং আইন বিশেষজ্ঞ এল বিশ্বনাথন।

ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৩৮ সালে প্রণীত বীমা আইন ভারতের বীমা শিল্পকে নিয়ন্ত্রণকারী আইনি কাঠামো প্রদান করে। এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার তত্ত্বাবধানের ভিত্তি স্থাপন করে, যার মধ্যে রয়েছে লাইসেন্সিং প্রয়োজনীয়তা, মূলধনের নিয়ম এবং বীমাকারীদের জন্য সম্মতি মান।

এই আইনটি বীমা এজেন্টদের ভূমিকা এবং দায়িত্বগুলোও নিয়ন্ত্রণ করে, যা বীমা খাতের মধ্যে কাঠামোগত কার্যক্রম নিশ্চিত করে।

বীমা খাতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের সীমা-

২০২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনে বীমা খাতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের বিদ্যমান সীমা ৭৪% থেকে ১০০% বৃদ্ধি করার সরকারের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

তিনি বলেন, এই বর্ধিত সীমা সেইসব কোম্পানির জন্য প্রযোজন্য থাকবে যারা ভারতে সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম বিনিয়োগ করে। বিদেশী বিনিয়োগের সাথে সম্পর্কিত বর্তমান রক্ষাকবচ এবং শর্তাবলী পর্যালোচনা এবং সরলীকৃত করা হবে।