লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে বীমা কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ভয়াবহন দাবানলে এখন পর্যন্ত ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে বীমা কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমনটাই মনে করছে দেশটির সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মরগান চেজ অ্যান্ড কোং।

লস অ্যাঞ্জেলেসের বিখ্যাত এলাকা এবং হলিউড হিলস জুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত এবং প্রায় ১০ হাজার স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। দেড় লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের এই দাবানলকে ‘যুদ্ধের মতো অবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বেসরকারি পূর্বাভাসকারী অ্যাকুওয়েদার অনুমান করেছে, ভয়াবহন এই আগুনে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১৩৫ বিলিয়ন থেকে ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সংস্থাটির প্রধান আবহাওয়াবিদ জনাথন পর্টার বলেছেন, তীব্র বাতাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দাবনল ছড়িয়ে পড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জেপি মরগান চেজ অ্যান্ড কোং অনুমান করে, বীমাকৃত সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল দাবানলে পরিণত হওয়ার প্রায় নিশ্চিত।

এর আগে মুডি’স রেটিং এজেন্সি জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাড়িঘর এবং ব্যবসার উচ্চ মূল্যের কারণে বীমাকৃত সম্পদের ক্ষতির পরিমাণ বিলিয়নস অব ডলার তথা কোটি কোটি ডলারের বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে মর্নিংস্টার ডিবিআরএস জানিয়েছে, প্রাথমিক অনুমান অনুসারে মোট বীমাকৃত ক্ষতির পরিমাণ ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি হবে।

লস এঞ্জেলস পুলিশ প্রধান ম্যাকডনেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, শুধু অগ্নিনির্বাপণ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকেই অনুমতি দেয়া হবে। এছাড়া যেসব অধিবাসীরা আক্রান্ত এলাকা ছেড়ে গেছে বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে এখনই তাদের না ফেরার অনুরোধ করেছেন তিনি।

ক্যালিফোর্নিয়া ফায়ার সার্ভিস বলেছে, শুক্রবারের আগ পর্যন্ত বড় দুই দাবানল প্যালিসেইডস ও ইটনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার মাত্রা ছিল শূন্য শতাংশ। অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা আকাশ ও মাটি থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানোর পরও কয়েক দিন ধরে দাবানল ছিল নিয়ন্ত্রণহীন। অবশেষে প্যালিসেইডসের আগুন ৮ শতাংশ এবং ইটনের আগুন তিন শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

(সূত্র: রয়টার্স, ব্লুমবার্গ, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস, এনবিসি নিউজ)