ভারতের স্বাস্থ্য বীমা খাতে নতুন ভারসাম্য আনছে ওপিডি সুবিধা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের স্বাস্থ্য বীমা খাত বর্তমানে এক নতুন ধাপে প্রবেশ করছে। চিকিৎসা খরচের পরিবর্তনশীল ধারা এবং মানুষের মধ্যে প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসচেতনতা বেড়ে যাওয়ায় আউটডোর পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট বা ওপিডি কভারেজ এখন বীমা পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হচ্ছে। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই কভারেজ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং এখন অনেক স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পনাতেই এটি যুক্ত হচ্ছে।
ওপিডি কভারেজকে কেন্দ্র করে গ্রাহক ও বীমা কোম্পানি উভয়ই এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের মুখোমুখি হচ্ছে। হাসপাতালভিত্তিক ভর্তি সাধারণত কম ঘটে, কিন্তু যখন ঘটে তখন খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়। অন্যদিকে, ওপিডি খরচ তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও সারা বছর ধরেই নিয়মিতভাবে প্রয়োজন হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, যারা নিয়মিত ওপিডি সুবিধা ব্যবহার করেন তাদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনও তুলনামূলকভাবে কমে আসে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে খরচের চাপ কমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক চিকিৎসার প্রবণতা বাড়ছে।
গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধার আরেকটি বড় আকর্ষণ হলো ক্যাশলেস সেবা। বর্তমানে অধিকাংশ দাবি সরাসরি ক্লিনিক কিংবা ফার্মেসিতে পরিশোধ হয়ে যাচ্ছে, ফলে গ্রাহককে অগ্রিম খরচ বহন করতে হচ্ছে না। এতে বীমাকে একটি দৈনন্দিন স্বাস্থ্যসঙ্গী হিসেবে ভাবা সম্ভব হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ, ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা ও ফার্মেসি খরচের মতো সাধারণ বিষয়গুলোই ওপিডি দাবির প্রধান অংশ। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিমেডিসিন ব্যবহারও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শহরকেন্দ্রিক ব্যস্ত জীবনে রোগীদের জন্য কার্যকর সমাধান হয়ে উঠেছে।
এই কভারেজ গ্রহণে এগিয়ে আছেন নগরভিত্তিক তরুণ ও মধ্যবয়সী পেশাজীবীরা। বিশেষত যারা প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা চান, তাদের জন্য এটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। যদিও এখনো পুরুষদের অংশগ্রহণ বেশি, তবে নারীদের আগ্রহও ধীরে ধীরে বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে একটি সুষম গ্রাহকভিত্তি তৈরি করতে পারে।
ভারতের প্রথম সারির শহরগুলোতে এই কভারেজ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মুম্বাই, হায়দরাবাদ, চেন্নাইয়ের মতো শহরে বিক্রির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর সুবিধা। যেমন- মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সহজে দাবি জমা দেওয়া এবং উচ্চতর কভারেজ সীমা, যা গ্রাহকদের কাছে বীমাকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে। (সংবাদ সূত্র: ইন্স্যুরেন্স এশিয়া)