দাবির টাকা পেল প্রাইম ইসলামী লাইফের নাটোরের গ্রাহকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: নাটোরের ভুক্তভোগি গ্রাহকদের বীমা দাবি পরিশোধ করছে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’তে সংবাদ প্রকাশের পর এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে ডাকযোগে ভুক্তভোগি গ্রাহকদের দাবির চেক পাঠিয়ে দিয়েছে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
অথচ বিলম্বে দাবি পরিশোধের বিষয়ে এর আগে কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ আলম বলেছিলেন, কোন দাবি বিলম্বে পরিশোধ করা হয় না। তাই সুদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের নাটোরের মৌখাড়া রিজওনাল অফিসের ইনচার্জ (আরসি) ই-মেইলে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে জানান, ইতোমধ্যেই ডাকযোগে ভুক্তভোগি গ্রাহকদের দাবির চেক পাঠানো হয়েছে। ওই মেইলে দাবি করা হয়েছে, ভুক্তভোগী গ্রাহকরা প্রাইম ইসলামী লাইফের মাঠ কর্মীদের উপর আস্থা হারিয়ে এ ধরণের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সাড়া দিয়েছে।
এর আগে ওই এলাকার মাঠকর্মীরা বলেছিলেন, গত এক বছরেও দাবির টাকা পরিশোধ করেনি প্রাইম ইসলামী লাইফ। দাবি পরিশোধের কথা বলা হলে ফাণ্ড সংকটের কারণেই কোম্পানি দাবি পরিশোধ করতে বিলম্ব করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
গত ২৫ মার্চ শনিবার নাটোরের ৭২ গ্রাহকের টাকা দিচ্ছে না প্রাইম ইসলামী লাইফ শীর্ষক প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি। এরপর ২৮ মার্চ মঙ্গলবার বিলম্বে দাবি পরিশোধে গ্রাহকদের সুদ প্রদান না করার বিষয়সহ বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ হয়।
ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’তে সংবাদ প্রকাশের পরই প্রাইম ইসলামী লাইফ কর্তৃপক্ষ নাটোরের গ্রাহকদের দাবি পরিশোধ শুরু করে। মাত্র দু’দিনের মধ্যে ৩৫ জন গ্রাহকের চেক ডাকযোগে পাঠিয়ে দেয় কোম্পানিটি। বাকীদের চেক ও নির্বাহী রশিদ প্রস্তুতের কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
প্রাইম ইসলামী লাইফের পলিসি সার্ভিসিং অ্যান্ড ক্লেইমস ডিপার্টমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আলমগীর হোসাইন খান ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে জানান, ৭২ গ্রাহকের মধ্যে গত ২৭ মার্চ সোমবার ৫ জনের এবং ২৮ মার্চ মঙ্গলবার ৩০ জনের চেক ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। এরআগে গত ৭ মার্চ ১ জনের চেক পাঠানো হয়েছে। চেক প্রত্যাশিদের মধ্যে দু’জনের নামে সমস্যা থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া ২৮ মার্চ মঙ্গলবার ৯ জন গ্রাহকের এবং ২৯ মার্চ বুধবার পাঠানো হয়েছে আরো ৫ জনের নির্বাহী রশিদ। এরআগে গত ২৩ মার্চ ৫ জনের নির্বাহী রশিদ পাঠানো হয়েছে। ২০১৬ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে ২ জনের নির্বাহী রশিদ পাঠানো হয়েছে। বাকী ১১ জনের নির্বাহী রশিদ প্রস্তুত করা হচ্ছে। আর দু’জন গ্রাহকের সমস্যার বিষয়ে তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কোম্পানিটির পরিবার কল্যাণ বীমা ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড পিডি মো. মোস্তফা জামাল ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে জানান, নাটোরের মৌখাড়া এলাকার মাঠকর্মীরা সক্রিয় না থাকায় দাবি পরিশোধে ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সময়মতো সরবরাহ না করায় নির্বাহী রশিদ ও চেক তৈরিতে বিলম্ব হয়েছে। তাছাড়া বছরের শেষ সময়ে এসে কাজের চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন পলিসি বিক্রিতে কর্মীরা বেশি ব্যস্ত থাকায় দাবি পরিশোধের কাজে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে গ্রাহকরা যাতে খুব দ্রুত দাবির টাকা পায় সে চেষ্টাই করছি আমরা।