প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে যা বললেন আদিবা রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় দাবি: আদিবার সময় ২০ কোটি টাকা আত্মাসাৎ হয়েছে ডেল্টা লাইফে’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আদিবা রহমান। এই প্রতিবাদের সংযুক্তিতে ৩ পাতার একটি বিবৃতি পাঠিয়েছেন তিনি। এতে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বলে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মূখ্য নিবাহী কর্মকর্তা হিসেবে স্বাক্ষর করেন আদিবা রহমান।

ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র পাঠকদের জন্য বিবৃতিটি হুবহু প্রকাশ করা হলো।

“আদিবার সময় বিশ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে ডেলটা লাইফে” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে বিবৃতি:

ডেলটা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রাক্তন সিএফও, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা সম্পর্কে গত ২৬ জুলাই ২০২১ তারিখে অনলাইনভিত্তিক পত্রিকা ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি (www.insurancenewsbd.com) কর্তৃক প্রকাশিত একাধিক অপ্রাসঙ্গিক, অযৌক্তিক, মিথ্যা ও বানোয়াট খবরের মাধ্যমে সম্মানিত শেয়ারহোল্ডার, পলিসিহোল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এজেন্ট এবং শুভানুধ্যায়ীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও জোড় প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং উক্ত বিষয়ে আমাদের অবস্থান নিম্নে তুলে ধরছি।

ডেলটা লাইফ বাংলাদেশের জীবন বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ও পরপর পাঁচ বার ক্রেডিট রেটিংয়ে “AAA” অর্জনকারী একমাত্র প্রতিষ্ঠান। ডেলটা লাইফের সলভেন্সি মার্জিন বিষয়ে ফিনান্সিয়াল কন্ডিশন রিপোর্ট ২০১৮-এ Actuary তার মতামতে বলেছেন, “Delta Life’s solvency cover is, in my opinion, very satisfactory.”

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (IDRA)-এর চেয়ারম্যান ড. এম. মোশাররফ হোসেন, এফসিএ কর্তৃক দাবিকৃত উৎকোচ প্রদান না করার কারণে Actuary কর্তৃক সমর্থিত একচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশনের বেসিস অনুমোদন করেননি, একইসাথে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আদিবা রহমান, এসিআইআই (ইউকে)-এর নিয়োগ নবায়নও প্রত্যাখান করেন। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে ডেলটা লাইফের সাথে কর্তৃপক্ষের নামমাত্র এক নাটকীয় শুনানীর পরেই বীমা আইনে রিভিউ করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তা না দিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এক ঘণ্টারর মধ্যে IDRA-এর সাবেক সদস্য জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লাকে ডেলটা লাইফে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রশাসক নিয়োগের একদিন পর ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে কোম্পানির ফেনী অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকর্তা জনাব মনজুরে মাওলাকে চার গ্রেড প্রমোশন ও ২৫০% বেতন বৃদ্ধি করে DMD ও COO পদে কেন্দ্রীয় অফিসে পদায়ন করেন এবং কোম্পানির সাবেক JEVP জনাব কামারুল হককে EVP পদে নিয়োগ দেন। জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা, জনাব মনজুরে মাওলা ও জনাব কামারুল হক তিনজনে মিলে তাদের পূর্ব পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ড. মোশাররফ হোসেন-এর বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত অভিযোগ দুটি প্রত্যাহারের জন্য কোম্পানির পক্ষে অভিযোগ দাখিলকারী জনাব পল্লব ভৌমিককে কোম্পানির বোর্ড রুমে আটকে রেখে তার কাছ থেকে জোড়পূর্বক অভিযোগ প্রত্যাহারের চিঠিতে স্বাক্ষর নেন। যার প্রেক্ষিতে জনাব পল্লব ভৌমিক গুলশান থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টকে অবহিত করলে মহামান্য হাইকোর্ট শুনানী শেষে জনাব ড. মোশাররফ হোসেন, জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা ও জনাব মনজুরে মাওলার বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।

এখানে উল্লেখ থাকে যে, জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা ও তার দুই সহযোগী জনাব মনজুরে মাওলা ও জনাব কামারুল হক-এর সীমাহীন দূর্নীতি, স্বজন-তোষণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক লুন্ঠনের বিষয়গুলো ডেলটা লাইফের পরিচালনা পর্ষদ অর্থ-মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ করেন এবং অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ই জুন ২০২১ইং তারিখে কর্তৃপক্ষ প্রশাসক জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লার নিয়োগ বাতিল করতে বাধ্য হয়, ডেলটা লাইফ রক্ষা পায় একজন দূর্ণীতিবাজ প্রশাসকের হাত থেকে।

জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা, জনাব মনজুরে মাওলা ও জনাব কামারুল হক তাদের পরিকল্পিত অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কোম্পানিতে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। মাস্ক ক্রয় কেলেঙ্কারী, কক্সবাজারে সম্মেলনের নামে প্রায় কোটি টাকা হাতানো, জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লার ১,৫৪,০০০/- টাকা দামের ল্যাপটপ ও ৯৬,০০০/- টাকা দামের মোবাইল সেট নিয়ে যাওয়া, নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা দাবি করে বেআইনীভাবে বৈশাখী ভাতা নেয়া, বিনা প্রয়োজনে কোটি কোটি টাকা লোকসানে কোম্পানির পোর্টফলিও হতে শেয়ার বিক্রি করা, অসৎ উদ্দেশ্যে নিম্ন মানের ব্যাংকে কোম্পানির Employees Provident Fund-এর চার কোটি টাকা FDR করা হয়।

জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা, জনাব মনজুরে মাওলা ও জনাব কামারুল হক তাদের দূর্ণীতিকে বৈধ করার জন্য ও ইচ্ছামত নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগকে নিজেদের দখলে নেয় ও চাহিদা মতো প্রতিবেদন তৈরি করতে নিরীক্ষা বিভাগের প্রধান জনাব ফারহান উদ্দিন, এফসিএ-কে CFO পদে পদায়ন করেন। জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা, জনাব মনজুরে মাওলা ও জনাব কামারুল হক-এর কথা মতো অন্যায় কাজ না করায়, জনাব মনজুরে মাওলার প্রস্তাব অনুযায়ী মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্টেটমেন্ট না দেয়ায় প্রাক্তন CFO জনাব মিল্টন ব্যাপারী, (এফসিএ, এলএলবি)-কে দুটি মামলার আসামি করে এবং পরবর্তীতে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য জনাব মনজুরে মাওলা বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়। জনাব মনজুরে মাওলা ও জনাব কামারুল হক তাদের দূর্ণীতিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য প্রকৃত ঘটনা ও সত্যকে গোপন করে অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে বর্তমান CFO জনাব ফারহান উদ্দিন-এর সহায়তায় প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত নষ্ট করে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রতিবেদন তৈরি করে। অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগের প্রতিবেদনের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই।

খাবারের ভুয়া বিলের মাধ্যমে নগদ আত্মসাত ৩৭,৮২,০৬৬ টাকা :

প্রতিটি বিলে আপ্যায়নের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে এবং কোম্পানির পলিসি ও প্র্যাকটিস অনুযায়ী হিসাবভুক্ত হয়। আনীত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

কোম্পানির বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স কাজের নামে নগদ আত্মসাত ৩০,৫৭,৬৭০ টাকা :

বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স-এর কাজ ও বিল উপস্থাপন বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট করে থাকে। বীমা দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকীর উপলক্ষ্যে তিনটি ভবন মেইনটেন্যান্স জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে নিয়ম মতো করা হয়। তাই অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

বিল ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাত ৯৪,৬৫,২৮৩ টাকা :

অভিযোগটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক কেননা ডেলটা লাইফের অডিট বাবদ এ ধরনের কোন বিল দেয়া হয়নি। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (IDRA) কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগের পর (১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং) তৎকালীন প্রশাসক বিধি বহির্ভূতভাবে অডিটর নিয়োগ দেয় এবং অডিটর তার ইচ্ছামত বিল করে টাকা বের করার চেষ্টা করেছে।

পরিচালকদের নিয়ম বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারে কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি ৫,৫০,৪৪,০৫০ টাকা :

কোম্পানির গাড়ি HR পলিসি অনুযায়ী ও ব্যবসার স্বার্থে কোম্পানির কর্মকর্তাগণ গাড়ি ব্যবহার করে। নিয়মনীতির বাহিরে গাড়ি ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই, সুতরাং অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য যে গাড়ি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বীমা কর্তৃপক্ষের (IDRA) নিয়মনীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়েছে।

জুম মিটিং বাবদ আত্মসাত ৪,৯৫,০০০ টাকা :

আমাদের কেন্দ্রীয় হিসাব বিভাগের প্রত্যেক কর্মকর্তা কোম্পানির ফাইনানসিয়াল পলিসি অনুসরন করে কাজ করে। কাজেই তাদের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগের আনীত অভিযোগ অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক।

ট্রেনিং এর অর্থ ফেরত বাবদ আত্মসাত ২,৩৫,০০০ টাকা :

প্রশিক্ষণ না হলে টাকা ফেরত - এ বিষয়টি সম্পূর্ণ নতুন উদ্ভাবন। এ ধরনের চুক্তি কোন প্রতিষ্ঠান করতে পারে না। অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

সিইও’র মৌখিক নির্দেশে নগদ ভাউচারের নামে আত্মসাত ৪৭,৮৫,০০০ টাকা :

কোম্পানির বিভিন্ন বিভাগের জরুরী ব্যয় নির্বাহের জন্য কেন্দ্রীয় হিসাব বিভাগ কর্তৃক উপস্থাপিত নোটের আলোকে নিয়মের মধ্যে থেকে ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রশাসক নিয়োগের পর কোম্পানির হিসাব বিভাগ থেকে যাবতীয় বিল ভাউচার অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে ও বর্তমান CFO জনাব ফারহান উদ্দিন-এর সহায়তায় কৌশলে সরিয়ে নেয়া হয়। ইতিপূর্বে অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগ বিল ভাউচার নিয়েছে এবং যথারীতি প্রতিবেদন করেছে, কিন্তু প্রশাসক নিয়োগের পর বিল ভাউচার সম্পর্কে অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগ উদ্ভট ও মনগড়া প্রশ্ন উপস্থাপন করছে যাহা অসৎ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তাদের হীন পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অপপ্রয়াস।

কর অফিসের খরচের নামে আত্মসাত ৩,০৬,৪৩,০০০ টাকা :

কোম্পানিতে যে কোন খরচ অনুমোদনের পরে গ্রহীতার স্বাক্ষর/মানি রিসিট প্রাপ্তি সাপেক্ষে নগদ টাকা/চেক প্রদান করা হয়। ইতিপূর্বেও অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগ বিল ভাউচার নিয়ে নিরীক্ষা কাজ সম্পন্ন করেছে, কিন্তু প্রশাসক নিয়োগের পর অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগ জনাব মনজুরে মাওলা ও জনাব কামারুল হক-এর নতুন নতুন নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমান CFO জনাব ফারহান উদ্দিন-এর সহায়তায় মনগড়া গল্প তৈরি করছে যাহা একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকি স্বরুপ। উল্লেখিত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

মৃত্যুদাবি পরিশোধে বার্ষিক প্রতিবেদন ও বিভাগীয় তথ্যে গড়মিল ৬,৩৪,২৭,৩৩০ টাকা :

বিষয়টি খুবই কাল্পনিক। দেশের খ্যাতনামা Statutory Auditor-দের অডিট এর ভিত্তিতে বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, যার কপি BSEC, DSE সহ অন্যান্য রেগুলেটরদের দেয়া হয়। এক্ষেত্রে Statutory Auditor-দের প্রতিবেদনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য।

সফটওয়্যার ক্রয়ে অনিয়ম, কোম্পানির আর্থিক ক্ষতি ৩,৩৮,৩৭,১৮০ টাকা :

সফটওয়্যার ক্রয়ের ক্ষেত্রে দেশী-বিদেশী ৫টি সফটওয়্যার কোম্পানির যোগ্যতা যাচাই-বাছাই পূর্বক ভারতীয় কোম্পানি Hansa Solutions-কে ক্রয় নীতিমালা অনুসরণ করে ২০১৪ সালে অর্থাৎ আদিবা রহমানকে CEO পদে নিয়োগের প্রায় চার বছর পূর্বে ক্রয়-কার্যাদেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, উক্ত কোম্পানির বীমা সফটওয়্যারটি বর্তমানে ভারতের ২০টিরও বেশি বীমা কোম্পানিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাক্তন প্রশাসক জনাব সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা তার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য তার পছন্দ মতো কোন সফটওয়্যার কোম্পানিকে কাজ দেয়ার জন্য একটি বিশ্বমানের সফটওয়্যারকে বিতর্কিত করে অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগ ও বর্তমান CFO জনাব ফারহান উদ্দিন-এর যোগসাজশে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে সফটওয়্যার ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরেন।

ডেলটা লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর মতো স্বনামধন্য ও স্বতন্ত্রভাবে ক্ষুদ্রবীমা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বীমা গ্রাহকের জমানো টাকা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী এবং সরকারী-বেসরকারী বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমরা সচেষ্ট। আমাদের বিরুদ্ধে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেক আগে থেকেই এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তাই কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার, পলিসিহোল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারী, এজেন্ট এবং শুভানুধ্যায়ীগণ সহ সকলকে এ সংক্রান্ত বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। ডেলটা জীবন, সমৃদ্ধ জীবন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনটিতে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এসব তথ্যের সংশ্লিষ্ট সকল নথিপত্রই ইন্স্যুরেন্স নিউজবিডির কাছে রয়েছে। এসব নথিপত্রে উল্লেখিত তথ্যের বিষয়ে আদিবা রহমানের সাথে মোবাইলফোনে মতামত নেয়া হয়েছে এবং প্রতিবেদনে তা তুলে ধরা হয়েছে। মতামত নেয়ার আলাপে আদিবা রহমান নথিপত্র সংগ্রহের জন্য তার নিয়োজিত ব্যক্তিকে পাঠাতে চাইলেও পরবর্তীতে কেউ আসেনি।

আদিবা রহমান সংবাদটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট আখ্যা দিয়ে যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিবেদনটিতে আমাদের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই এই সংবাদ করা হয়েছে।